২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় নীরজ ঘেওয়ান পরিচালিত ছবি ‘হোমবাউন্ড’। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন বিশাল জেঠওয়া ও ঈশান খট্টর। ছিলেন জাহ্নবী কপূরও। গল্পের কেন্দ্রে এই দুই তরুণ। এই ছবি ভারতের প্রান্তিক মানুষের কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরে। সমালোচক থেকে দর্শক— সকলের প্রশংসা পায় এই ছবি। এ বার নতুন পালক জুড়ল সাফল্যের মুকুটে।
আরও পড়ুন:
বড়পর্দায় মুক্তির আগেই এই ছবি ৯৮তম অস্কারের দৌড়ে শামিল ছিল। ভারত থেকে এই ছবিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এ বার এই ছবি জায়গা করে নিল আন্তর্জাতিক ফিচার ছবির সেরা ১৫-এর তালিকায়।
ছবির প্রযোজক কর্ণ জোহর এবং পরিচালক নীরজ স্বাভাবিক ভাবে উল্লসিত। তবে এখনই বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে নারাজ তাঁরা। আগামী ২২ জানুয়ারি এই ১৫টি আন্তর্জাতিক ছবির মধ্যে থেকে ঝাড়াইবাছাই হবে। তার পরে সেখান থেকে বেছে নেওয়া হবে সেরা পাঁচ ছবিকে। যাঁরা মূল মঞ্চে প্রতিযোগিতা করবে। সেই পাঁচ ছবির মধ্যে সেরার সেরাকে বেছে নিয়ে তার হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার। তত ক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকেই। চলতি বছরে টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব ও কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় এই ছবি। বিদেশি দর্শকের মন জয় করেছে এই ছবি।
সুরতের সুতোকলে কাজ করা দুই বন্ধুর গল্প বলে এই ছবি। বলা যেতে পারে দুই পরিযায়ী শ্রমিকের গল্প। তবে এ গল্প মনগড়া নয়। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঘটে এই ঘটনা। অমৃত কুমার ও মহম্মদ সাইয়ুব— দুই বন্ধু। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে দুই বন্ধু রওনা দেন সুরত থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশে, তাদের গ্রামের উদ্দেশে। মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত পৌঁছোতে পৌঁছোতে হিটস্ট্রোকে মারা যায় অমৃত। তবে বন্ধুকে একা ফেলে চলে যায়নি সাইয়ুব। অমৃতের মরদেহ সে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। এমনই এক প্রতিবেদন ২০২০ সালে ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’-এর সাংবাদিক তুলে ধরেন। সেই খবরের শিরোনাম ছিল ‘টেকিং অমৃত হোম’। কর্ণের সংস্থা ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই খবরটির স্বত্ব কিনে নেওয়ার পরে যে কাহিনির নাম বদলে গিয়ে হয়েছে ‘আ ফ্রেন্ডশিপ, আ প্যানডেমিক অ্যান্ড আ ডেথ বিসাইড দ্য হাইওয়ে’। সেখান থেকেই ছবির নাম হয় ‘হোমবাউন্ড’। এ বার সেই ছবি অস্কার আনতে পারে কি না, অপেক্ষায় দেশবাসী।