ঠিক এক বছর পর ভারত ঘরের মাঠে ফের কোনও সিরিজ খেলতে নামছে আজ। এবং প্রতিপক্ষ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা তখন একটা উত্তেজক সিরিজ হওয়ার মঞ্চ নিশ্চয়ই তৈরি থাকবে। এটা ঘটনা যে ২০০৬ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা বিদেশের মাঠে কোনও সিরিজ হারেনি। তা সত্ত্বেও ওদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা এ বারই। ৭২ দিনের এই ভারত সফর!
ভারতীয় পরিবেশে এত লম্বা সফরে ভাল করার জন্য ওদের সবার আগে একটা বিশেষ মানসিকতা তৈরি করতে হবে। যাতে সহজেই এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। যাতে লম্বা সফরেও জেতার খিদে থাকে আর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকা যায়।
এত বড় দেশ ওদের চষে ফেলতে হবে। দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে দু’ভাবেই। কিন্তু লম্বা জার্নি সত্ত্বেও ওদের হাতে থাকা কাজটার উপর থেকে ফোকাস একবিন্দু সরালে চলবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা এত লম্বা ভারত সফরে এর আগে কখনও আসেনি। তাই আমার মতে এই সিরিজে ওদের সাফল্যের চাবিকাঠি হল, কত তাড়াতাড়ি এবং কত ভাল ভাবে ওরা এ দেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। কাগজে-কলমে দু’টো দলই সমান সমান। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবে ইমরান তাহির। খুব ধূর্ত ক্রিকেটার। আমার মতে এই সিরিজ যত এগোবে তাহিরের ভূমিকা বিরাট হয়ে উঠবে।
ধর্মশালার মতো উত্তর ভারতের পাহাড়ি শহরে আজ সন্ধেতে খেলা। সে জন্য প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অন্তত পরিবেশের দিক দিয়ে প্রোটিয়ারা সুবিধেজনক জায়গায় থাকবে মনে হয়। তা ছাড়া গত বেশ কয়েক বছর আইপিএলের সুবাদে অন্য বিদেশিদের মতো দক্ষিণ আফ্রিকারও অনেক ক্রিকেটার এই উপমহাদেশে প্রচুর খেলেছে। যেটা ওদের এখানকার পরিবেশের সঙ্গে তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে একটা অ্যাডভান্টেজ। ভারতের ব্যাপারে বলা যায়, এই টিমটার বোলিং বিভাগ বেশ তরুণ। যাদের আক্রমণের পরীক্ষা হবে দক্ষিণ আফ্রিকার উঁচু মানের ব্যাটিংয়ের সামনে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতীয় দলে অনেক স্পিনার নেওয়া হয়েছে। আমি আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে থাকব এমএস ধোনি এ রকম একটা বোলিং বিভাগকে কী ভাবে চালায়! ভারত অধিনায়ক চারে ব্যাট করতে আসে কি না সেটার দিকেও তাকিয়ে আছি আমি। বাংলাদেশে ব্যাপারটা ধোনির দিক দিয়ে খুব ইতিবাচক একটা সিদ্ধান্ত ছিল। আশা করি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের দিক দিয়ে ব্যাপারটা চালুই থাকবে।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টি-টোয়েন্টি। শুক্রবার ধর্মশালায়।
স্টার স্পোর্টস। সন্ধ্যা সাতটা থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy