বাবা রাগবি প্লেয়ার ও কোচ। কোচের চাকরি নিয়ে ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে ইংল্যান্ডে আসায় বারো বছরের ছেলের আর ভবিষ্যতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার হয়ে ওঠা হয়নি। তিনি— ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস রবিবার টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি (১৬৩ বলে) করে যাঁর পরেই নিজের নাম তুললেন সেই শীর্ষ তারকা নাথান অ্যাস্টলেরও আবার জন্ম ক্রাইস্টচার্চেই!
টেস্টে দ্রুততম আড়াইশো করার ব্যাপারে অবশ্য ডারহাম কাউন্টির বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান এ দিন থেকে এক নম্বরে। ১৯৬ বলে ২৫০-এ পৌঁছে বিগ বেন কেড়ে নিলেন আবার এক ভারতীয়ের নজির— বীরেন্দ্র সহবাগের ২০৭ বলে আড়াইশো করার রেকর্ড। অথচ টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে তাদের দেশেরই মাঠ কেপটাউনে ছিনিমিনি খেলে টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ (বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৩৯৯ রান) গড়লেন যিনি, তাঁকে ২০১৫ বিশ্বকাপে দলেই রাখেনি ইংল্যান্ড। যদিও স্টোকসের ২০১৪ আন্তর্জাতিক মরসুম এককথায় ছিল বীভৎস! গত বছরের মাঝামাঝি অ্যাসেজ সিরিজ থেকে স্টোকসের যেন পুনর্জন্ম! তবে সেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আবার বিশ্বের মাত্র পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়ে অন্য রেকর্ড করেছিলেন তিনি।
এ দিনও স্টোকসের আউট নাটকীয়। রাবাদার ওভারের আগের দু’বলে ওভার বাউন্ডারি মারার পরে তৃতীয় বারও সেই চেষ্টায় ক্যাচ তুলে বেঁচে গেলেও ডে’ভিলিয়ার্সের থ্রোয়ে রান আউট হন (২৫৮)। এক বল পরেই বেয়ারস্টো দেড়শোয় পৌঁছনোয় ওই ওভারেই ৬২৯-৬-এ ডিক্লেয়ার করে দেন ক্যাপ্টেন কুক (দিনের শেষে আমলারা ১৪১-২)। পরক্ষণে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট— ‘বেয়ারস্টোর প্রথম শ্রেণির প্রথম সেঞ্চুরি ছিল ডাবল সেঞ্চুরি। সুযোগ পেলে টেস্টেও ওর প্রথম সেঞ্চুরিটা ডাবল হয়ে থাকত! ’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy