হেপ্টাথলনের সাতটি ইভেন্টের জন্য সাতটি জুতো লাগে স্বপ্নার। —ফাইল চিত্র।
জুতো সমস্যায় মূল অনুশীলন এখনও শুরু করতে পারেননি স্বপ্না বর্মণ। ১৬-১৯ এপ্রিল দোহায় এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স মিটে সোনা জেতাই লক্ষ্য এশিয়াড চ্যাম্পিয়ন মেয়ের। ওই প্রতিযোগিতার যোগ্যতামান পেরোতে মার্চে পাতিয়ালায় ফেডারেশন কাপে নামতে হবে তাঁকে। তার আগে অবশ্য রয়েছে জাতীয় গেমসও।
হেপ্টাথলনের সাতটি ইভেন্টের জন্য সাতটি জুতো লাগে স্বপ্নার। দু’পায়ে ছয় আঙুলে যে জুতোগুলো কার্যকর সেগুলো চেয়েছিল জার্মানির বিখ্যাত কিট প্রস্তুতকারক একটি সংস্থা। স্বপ্নার নতুন জুতো বানানোর জন্য। নভেম্বরের শেষে জার্মানিতে স্বপ্না এবং তাঁর কোচ সুভাষ সরকার গিয়েছিলেন পায়ের মাপ দিতে। তখনই ওই সংস্থাটি যে পুরনো জুতোগুলো জলপাইগুড়ির মেয়ের পায়ে জুতসই সেগুলো চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় দেড় মাস হয়ে গিয়েছে সেই জুতোগুলো ফেরত আসেনি স্বপ্নার কাছে।
মাস খানেক হল স্বপ্না নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। চোট মুক্ত হয়ে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য প্রাথমিক অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স মিটে নামার জন্য ৫৮০০ পয়েন্ট করতে হবে তাঁকে। এশিয়াডে স্বপ্না ৬০২৬ করে সোনা জিতলেও রি-হ্যাব করে চোট সারানোর জন্য প্রায় মাস তিনেক মাঠের বাইরে ছিলেন বাংলার খেলাধুলার অন্যতম সফল মুখ। কিছু দিন হল সাইয়ের নতুন তৈরি নীল ট্র্যাকে অনুশীলন শুরু করেছেন রাজবংশী পরিবারের এই জেদি মেয়ে। স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার বলছিলেন, ‘‘স্বপ্নাকে প্রাথমিক ভাবে চোটমুক্ত এবং সুস্থ করে ফেলেছি। জুতোগুলো এসে গেলেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করব। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই তা চলে আসবে। শুনেছি সেগুলো নয়ডাতে চলে এসেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy