পুণেকে হারিয়ে সানরাইজার্সের পার্টি। কেক কাটছেন নমন ওঝা। ছবি: টুইটার
দিল্লির আইপিএল মিশন এখন খাদের ধারে। তা-ও আজ আবার ওরা বিপক্ষের ডেরায়। দরকার পুরো ঝাঁকটার ফর্মে ফেরা। সবার পা-হাতগুলোর অবশ্যই খুব দ্রুত নড়াচড়া চাই। পদক্ষেপ আরও বেশি তাড়াতাড়ি হোক। আর হৃদয় যেন এ সবের কারণগুলোতে বিশ্বাস রাখে। ভাল খবর যে, দিল্লি জানে ওরা এই সবগুলোই করতে পারে।
আইপিএল দৌড়ে হায়দরাবাদ, গুজরাত আর কলকাতাকে মনে হচ্ছে লিফটের ভেতরে মাথা ঢুকিয়েছে। দিল্লি আর মুম্বই কিন্তু দেখতে পারে ওদের সামনে লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মনে করুন সেই দিনগুলোর কথা, যেখানে আপনি চলন্ত বাসের লোহার রডটা ধরতে পেরেও সেটায় চড়তে পারলেন না। মুম্বই-দিল্লির কাছে পরিস্থিতিটা অনেকটা সেই রকম।
মজাটা হল, দিল্লির মে়ডিক্যাল রিপোর্ট যতটা বলছে, তার চেয়ে কিন্তু ওদের অনেকটা স্বাস্থ্যবান দেখাচ্ছে পয়েন্ট টেবলে। ওদের কমপক্ষে হাফডজন ব্যাটসম্যানের চলতি টুর্নামেন্টে হাফসেঞ্চুরি ইনিংস আছে। হ্যাঁ, মানছি ওদের কাউকে গণ্ডার দেখাচ্ছে না। তবে একটা সিংহীর তাড়া খাওয়া একপাল হায়নার মতো অবস্থাও নয়। বেশির ভাগকেই মনে হচ্ছে, আঘাত হানতে পারে। কিন্তু ফলটা তখনই পাওয়া যাবে, যদি প্রত্যেকেই কিছু না কিছু কাজ করতে পারে।
যদিও এই পর্যায়ে দিল্লির দরকার স্টেরয়েড নেওয়া কোনও এক চরিত্র। কুইন্টন ডি কক দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি করার পরে অনেক দিন হয়ে গেল ঝিমোচ্ছে— ওর থেকে আরও অনেক রান দরকার দিল্লির। বেশির ভাগ টিম তাদের সম্পদশালী ওপেনারদের ঘাড়ে চেপে ভাল খেলে চলেছে। দিল্লির সেই পাওনাটা টানা জুটছে না। ফুটবলের পরিভাষায়, একটা যুতসই কিক-অফ দরকার, যেটা মাঠে আগুন ধরিয়ে দেবে। ডি কক আর ঋষভ পন্থের জুটি সেই ভিতটা তৈরি করতে পারে। আর এই মুহূর্তে তো মরিস আর ব্রেথওয়েট রোজ বেঞ্চে ওয়ার্ম আপ করে চলেছে ইনিংসের শেষের দিকে ক্যামিও ‘রোল’ করতে।
দিল্লির বোলিং বিভাগে প্রচুর শক্তি। আপনার গুনতি যদি জাহির, শামি আর মরিসেই শেষ হয়ে যায়, তা হলে মনে রাখবেন তারও পরে কুল্টার-নাইল রয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চে। অমিত মিশ্র আর ইমরান তাহিরেই ওদের টিমের স্পিন-কার্ড ফুরনোর নয়— নাদিম আর দুমিনি ভাল ফলো আপ আছে সঙ্গে। সাতের নীচে ওভার পিছু রান— এই স্পিন বিভাগের ইকনমি অনবদ্য।
সব মিলেজুলে আজ হায়দরাবাদের সঙ্গে দিল্লির লড়াই আইপিএলের দুই সেরা বোলিং আক্রমণের টক্কর। যে বোলারদের নিজেদের বলার দরকার পড়ে না— এই মরসুমে ওরা অপ্রতিরোধ্য। ম্যাচটায় সব কিছু নির্ভর করছে দিল্লি ব্যাটসম্যানরা কতটা চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে পারে তার উপর। আর সঙ্গে ওই দু’টো অলরাউন্ডার— মরিস আর ব্রেথওয়েট মুখে জল এনে দেওয়ার মতো সুস্বাদু লড়াই জমিয়ে তুলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy