প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন স্থানীয় মানুষ। ছবি: টুইটার থেকে
শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর আগে যদিও নানা বিতর্ক এ বারের অলিম্পিক্স ঘিরে। শেষ ছয় মাসে টোকিয়োতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক ছিল বৃহস্পতিবার। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন স্থানীয় মানুষ।
১৫ জানুয়ারি টোকিয়ো শহরে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৪৪। ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল সেই সংখ্যাটা। বৃহস্পতিবার ফের সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৭৯। অলিম্পিক্স যত এগিয়ে এসেছে ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জাপানের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “যে চিন্তাটা আমাদের ছিল, সেটাই সত্যি হচ্ছে। অলিম্পিক্সের জন্যই হয়তো আরও বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ।”
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহাইদ সুদা যদিও অলিম্পিক্স আয়োজন করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। ১২ জুলাই থেকে টোকিয়োতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। যাতে করোনা সংক্রমণে লাগাম টানা যায়। তবে তথ্য বলছে তা বোধ হয় সম্ভব হয়নি।
টোকিয়ো পুরসভার সামনে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শুক্রবার। অলিম্পিক্স উদ্বোধন শুরুর দিনেই মানুষের বিক্ষোভ। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আজ থেকেই শুরু হচ্ছে অলিম্পিক্স। আমরা চাই এটা বাতিল করা হোক। অলিম্পিক্সের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। অলিম্পিক্সের মশাল আসবে এখানে। তাই আমরা আজ এখানেই প্রতিবাদ করছি।”
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন শুক্রবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করবেন তাঁরা। গোটা জাপান জুড়েই প্রতিবাদ চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। উদ্বোধনের দিন যেন তা বড় আকার নিতে চলেছে।
অলিম্পিক্স আয়োজন করে মানুষের মধ্যে আনন্দ আনার কথা শুনিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তবে জাপানের শহরে ধরা পড়ছে অন্য ছবি। শহরের রাস্তায় যাতে দরিদ্র মানুষদের দেখা না যায়, সেই জন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। গৃহহীন এবং দরিদ্রদের এই বছরের শুরু থেকেই সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের সময় এমনই ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল দিল্লিতে। শহর থেকে বহু দরিদ্র মানুষকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্র অনুযায়ী প্রায় এক লক্ষ পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy