বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৫ রান দিয়ে কিউয়িদের জয় শক্ত করে দেন বোল্ট। ছবি: রয়টার্স।
অল্পের জন্য বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। বিশ্বকাপে হৃদয়বিদারক হারের ধাক্কা সামলাতে সমুদ্রসৈকতে নিজের পোষ্য লুইয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে চান কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।তিনি বলেন, ‘‘প্রায় চারমাস শেষে আমি দেশে ফিরতে চলেছি। বাড়ি ফিরে হয়তো আমি আমার পোষ্যের সঙ্গে সমুদ্রের পাড়ে হাঁটতে বেরবো আর চাইবোফাইনালের হার ভুলে যেতে। আশা করি, ও (লুই) আমার ওপর রাগ করবে না।”
ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ট বোল্টের পোষা গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুরটি। আপাতত তাকে নিয়েই হারের শোক ভুলতে চান এই কিউয়ি তারকা।
Had a very speedy training partner this morning in @louie_boult_the_retriever.
একশো ওভারের শেষে ফাইনাল ম্যাচ টাই হয়। সুপার ওভারেও খেলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় বাউন্ডারির সংখ্যার ভিত্তিতে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে ভিকট্রি ল্যাপ দিচ্ছিলেন, কেন উইলিয়ামসনদের তখন দেখা যায় কান্নায় ভেঙে পড়তে।
আরও পড়ুন: সুপার ওভারে উত্তেজনা, শিষ্য নিশামের ছক্কা দেখে শেষ নিঃশ্বাস গুরুর
বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল বোল্টের। বিশ্বকাপে মোট ১৭টা উইকেট পেয়ে এক সময়ে সর্বাধিক উইকেট পাওয়ার দৌড়ে উপরের দিকে উঠে আসেন তিনি। একটা সময়ে কিউয়িরাও টুর্নামেন্টে পিছোতে শুরু করে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ান উইলিয়ামসনরা।
হারের ধাক্কা সামলাতে পোষ্য "লুই"-এর সঙ্গে সময় কাটাতে চান বোল্ট। ছবি: ইন্সটাগ্রামের সৌজন্যে।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সে বারের ফাইনাল শুরুর কয়েক ওভারের মধ্যেই ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছিল কিউয়িদের হাত থেকে। কিন্তু, এই বিশ্বকাপের ফাইনাল যে আগের থেকেও পীড়াদায়ক, তা মানছেন বোল্টও। ৪৯তম ওভারে জিমি নিশামের বলে বেন স্টোকসের ক্যাচ ধরতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইন ছুঁয়ে ফেলেন বোল্ট। এই নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান,‘‘এ কথা সত্যি এইরকম ছোট ছোট ঘটনা আজীবন মনে থাকে। আর শেষের ওভারটা বহুদিন আমায় তাড়া করে বেড়াবে।” তাঁর শেষ ওভার যে নাটকীয় হয়েছিল, তা কি কেউ ভুলবেন? বোল্টের পক্ষেও তা ভোলা সম্ভব নয়। কিউয়ি তারকা আরও জানান, “শুধু নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরাই নন, সারা বিশ্বের বহু ক্রিকেট সমর্থকরাই চাইছিলেন আমরা জিতি। কিন্তু, আমরা তাঁদের আশাপূরণ করতে পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy