Advertisement
E-Paper

ধোনিকে নিয়ে বিরাট আবেগে বিস্মিত হাসি

বুধবার এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তাঁর সতীর্থের প্রশংসা করেন ডিভিলিয়ার্স। তাঁদের মধ্যে কী করে এত বোঝাপড়া?

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৮
আস্থা: বিরাটের দক্ষতায় বেশি ভরসা রাখেন ডিভিলিয়ার্স। ফাইল চিত্র

আস্থা: বিরাটের দক্ষতায় বেশি ভরসা রাখেন ডিভিলিয়ার্স। ফাইল চিত্র

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলার সুবাদে বিরাট কোহালির সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে এবি ডিভিলিয়ার্সের। তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া এতটাই ভাল যে, নিজের চেয়েও বিরাটের দক্ষতায় বেশি ভরসা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা। দীর্ঘদিন একই দলে খেলার ফলে টেকনিকের দিক থেকেও একে অন্যকে সাহায্য করেন। যেমন এবির থেকে শর্ট বলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার শিক্ষা কিছুটা হলেও পেয়েছেন বিরাট। তেমনই ভারতীয় অধিনায়কের স্পিন খেলার কৌশল কিছুটা রপ্ত করেছেন ডিভিলিয়ার্স। আরসিবি-র বেশির ভাগ জয়ের নেপথ্যে এই জুটির অবদান অনস্বীকার্য।

বুধবার এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তাঁর সতীর্থের প্রশংসা করেন ডিভিলিয়ার্স। তাঁদের মধ্যে কী করে এত বোঝাপড়া? দু’জনের ব্যাটিং ভঙ্গি আলাদা হলেও কী করে একে অপরকে সাহায্য করেন? নিজেদের মধ্যে টেকনিকে কী পরিবর্তন করেছেন? সব নিয়েই মুখ খুললেন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল। কোন বোলারকে কে আক্রমণ করব, আগে থেকেই ঠিক করে নিই। সাধারণত আমিই দ্রুত আক্রমণ করি। শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করি। যাতে ওরা বুঝতে পারে, আর পাঁচ ওভার ক্রিজে থাকলে সমস্যা তৈরি করতে পারি।’’ যোগ করেন, ‘‘বিরাট অন্য দিকে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। তুমি চাইবে, ও যেন ১৫ ওভার ব্যাট করে দেয়। তাই আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া এত ভাল। আমি মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পছন্দ করি। বিরাট ম্যাচ শেষ করে আসে।’’

টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের জুটি গড়েছেন একমাত্র কোহালি ও ডিভিলিয়ার্স। মোট ৬৯ ইনিংসে ন’বারের উপরে শতরানের জুটি রয়েছে তাঁদের। জ়াহির খান জানিয়েছিলেন, বিরাট ও ডিভিলিয়ার্স একে অন্যের টেকনিক উন্নতি করার চেষ্টাও করেছেন। সেই তথ্যে স্বীকার করে ডিভিলিয়ার্স বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার সুবাদে শর্ট বলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে আমার সমস্যা হয় না। স্পিনে কিছুটা হলেও সমস্যা হত। অন্য দিকে বিরাট সাবলীল ভাবে স্পিন খেলত। কিন্তু খাটো লেংথের ডেলিভারির বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়ত। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই টেকনিক শোধরানোর চেষ্টা করি।’’ ভারতীয় অধিনায়ককে পুল শট রপ্ত করিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা। তাঁর কথায়, ‘‘খাটো লেংথের বল যদি গতির সঙ্গে ব্যাটসম্যানের দিকে ধেয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে পুল মারার বেশি সময় পাওয়া যায় না। ব্যাটসম্যানকে যদিও সময় বার করতে হয়। পুল জোরে মারার প্রয়োজন নেই। খাটো লেংথের বলের বিরুদ্ধে বাহু প্রসারিত করে বলের উপরে কব্জির মোচড়ের সাহায্যে ব্যাট ঘোরাতে হয়। তা হলে অনায়াসে মারা যায় এই শট। বিরাট এখন সাবলীল ভাবে পুল মারতে পারে। গত কয়েক বছরে আরও উন্নতি করেছে।’’

কেন তিনি দ্রুত অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কেন সরে দাঁড়ালেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক? ডিভিলিয়ার্সের উত্তর, ‘‘২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার উইকেটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই আমি পাল্টে যাই। সেই ঘটনা আমার জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলেছে। সে বছরে সতীর্থদের মুখোমুখি হতেও ইচ্ছে করেনি। আমার এই পরিস্থিতির কথা কেউ জানতে পারেনি। কোচ ও সতীর্থদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার উচিত ছিল আমার।’’

আরও পড়ুন: মনোহর সরলেন

একই দিনে বিরাটের প্রশংসা করে গেলেন মাইকেল হাসি। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান যদিও মুগ্ধ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রতি অধিনায়ক কোহালির আচরণ দেখে। হাসি বলেছেন, ‘‘দলে ধোনির মতো ক্রিকেটার থাকলে যে কোনও অধিনায়কের মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। কারণ, এমন কোনও ট্রফি নেই, যা ধোনির জেতা বাকি। বিরাটকে দেখে মনেই হয় না, ও কোনও আতঙ্কের মধ্যে আছে। ও বরং ধোনিকে পাশে চায়। কারণ, কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে তার থেকে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। বিরাট জানে, ধোনির সঙ্গে আলোচনা করে নেতৃত্বের বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করা যেতে পারে। বিরাটকে তাই কুর্নিশ জানাতেই হচ্ছে।’’

IPL Virat Kohli M S Dhoni AB de Villiers Cricket
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy