বিজয়ী: রাজকোটে ম্যাচ জেতার পরে কোহালি। শনিবার। পিটিআই
বিরাট কোহালির জীবনে নতুন স্বঘোষিত অনুশাসন হাজির হল। এ বার ভারত অধিনায়কের প্লেট থেকে উঠে গেল আমিষ খাদ্য! তিনি হয়ে গেলেন সম্পূর্ণ নিরামিষাশী!
উত্তর ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও আর কখনও তাঁর প্লেটে দেখা যাবে না কাবাব বা তন্দুরি চিকেন। আর কখনও খাবেন না মাটন রোগানজোশ। যাতে মাঠে তাঁর বিখ্যাত জোশ আরও ভাল ভাবে ধরে রাখতে পারেন। এমনিতেই খাবারের ব্যাপারে গত চার-পাঁচ বছর ধরে কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলেন বিরাট। সিক্স-প্যাক শরীরে এক ফোঁটা মেদ জমতে দিতে নারাজ। রাজকোটে কীর্তি গড়ে ইনিংস ও ২৭২ রানে টেস্ট জেতার পরে (ইনিংস জয়ের দিক থেকে এটাই বৃহত্তম) দলের নৈশভোজ সম্মেলন ছিল। সেখানে অধিনায়কের প্লেটে আমিষ খাবার নেই। ফোলা গালের, যেমন খুশি জীবনযাপন করা বিরাট বহু দিনই অতীত। ঠান্ডা পানীয় ছুঁয়ে দেখেন না। নিজে পান করেন না বলে ঠান্ডা পানীয়ের বিজ্ঞাপনও করেন না। এ বার আমিষ খাবার বাতিল করে খুদে খেলোয়াড়দের সামনে আরও বড় সংকল্পের ছবি হয়ে উঠলেন।
জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে চার মাস হয়ে গিয়েছে তিনি নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছেন। ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে ভারত অধিনায়কের মনে হয়েছে, ক্রিকেটজীবনকে তরতাজা রাখতে, দীর্ঘায়িত করে তুলতে এই আত্মত্যাগ জরুরি। নিজের সংসারেই অনুপ্রাণিত হওয়ার উদাহরণ রয়েছে। স্ত্রী অনুষ্কা আগেই আমিষ খাওয়া ছেড়েছেন। স্বামী হাত মেলালেন। প্রাণীজ যে কোনও খাবারও ত্যাগ করতে পারেন তিনি। ভারতীয় দলের আরও কয়েক জন ক্রিকেটার অধিনায়ককে অনুসরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। খেলাধুলোর ইতিহাসে বেশ কয়েক জন নিরামিষাশী কিংবদন্তি আছেন। যেমন টেনিসে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে কার্ল লুইস। মাঠের মধ্যে সেরাদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বিরাটের ব্যাট। মাঠের বাইরে কার্ল লুইসদের সঙ্গে ছুটে চলেছে তাঁর ডায়েট!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy