ছবি সংগৃহীত।
সচিন তেন্ডুলকর, স্টিভ ওয়, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিংয়ের ব্যাটিং বিশ্লেষণ করলেন ওয়াসিম আক্রম। নিজের দেশের ক্রিকেটার তনবীর আহমেদকে ইউটিউব-সাক্ষাৎকারে আক্রম যা বলেছেন...
সচিন তেন্ডুলকর: টেস্ট ক্রিকেটে সাত বার মুখোমুখি হয়েছেন সচিন ও আক্রম। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের মাটিতে সচিন তাঁর অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। তখন ১৬ বছরের মাস্টার ব্লাস্টারকে বল করেছিলেন আক্রম। আক্রমের মতে, ‘‘নিঃসন্দেহে সচিন সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ওর শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আমি মতামত দিলে আমার ভারতীয় ভক্তেরা কিছুটা হতাশ হন। ১৯৮৯ সালের পরে টেস্টে সচিনকে ফের বল করেছি ১৯৯৯ সালে।’’ যোগ করেন, ‘‘১০ বছর টেস্ট খেলিনি ওর বিরুদ্ধে। তাই ওর দক্ষতা বিচার করা কঠিন কাজ। তবে ক্রিকেটের একজন সেরা খেলোয়াড় ও।’’ সচিনের বিরুদ্ধে ২৪টি ওয়ান ডে খেলেছেন আক্রম। যেখানে তিনি তিন বার আউট করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তিকে।
ব্রায়ান লারা: ক্যারিবিয়ান প্রিন্সের ভক্ত তিনি। প্রাক্তন পাক পেসার বলেছেন, ‘‘ব্রায়ান লারা একটা দৃষ্টান্ত। আমাদের বিরুদ্ধে ও প্রচুর রান করেছে বিশাল ব্যাকলিফট নিয়ে। ও একদম আলাদা রকমের ব্যাটসম্যান। ওর বিরুদ্ধে প্রচুর খেলেছি।’’ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪০টি দ্বৈরথে লারাকে ন’বার আউট করেছেন আক্রম।
রিকি পন্টিং: অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে ২২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আক্রম। পন্টিং সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন, ‘‘ডান হাতি এই ব্যাটসম্যানের শুরুটা ভাল হয়নি। কিন্তু পরবর্তীকালে সেরাদের তালিকায় ঢুকে পড়ে। ওর ক্রিকেটার জীবনের শুরুতে ডান হাতি পন্টিংকে আউট করতে সমস্যা হত না। কিন্তু ধীরে ধীরে ও খেলার মান উন্নত করে নিজেকে সেরাদের পর্যায়ে নিয়ে যায়।’’
মার্টিন ক্রো: পাক পেসারদের রিভার্স সুইং সামলাতে পারার দক্ষতার জন্য আক্রম বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন ক্রো-এর কথা। বলেছেন, ‘‘একটা সিরিজে আমাদের বিরুদ্ধে দু’টো শতরান করেছিল মার্টিন। ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কী ভাবে খেললে? ওর উত্তর ছিল, তোমার ও ওয়াকারের (ওয়াকার ইউনিস) ইনসুইং সামলাতে সামনের পায়ে খেলেছি। ফলে আউটসুইংটা অনায়াসেই বাইরে বেরিয়ে যেত। সেটা খেলতে হত না। আউটসুইং তখনই ভয়ঙ্কর, যখন তুমি ওটাকে তাড়া করবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘সহজ রণনীতি। এ কারণেই মার্টিনকে আমি বিশেষ ভাবে তারিফ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy