অনুগামীর দেওয়া বলে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন ঋদ্ধি। — বিশ্বরূপ বসাক
নিজের শহরে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়তে চান ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমান সাহাও কি চান নিজের শহর শিলিগুড়িতে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়তে? এখনই সে বিষয়ে মুখ না খুললেও শিলিগুড়িতে যে ক্রিকেট শেখার ক্ষেত্রে নানা বাধা রয়েছে তা মেনে নিলেন সবার চেনা ‘পাপালি’। তবে এটাও বলে দিলেন, পরিকাঠামোর দোহাই দিলে চলবে না। নিজে লড়াই করে উঠে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির দাগাপুরে দিল্লি পাবলিক স্কুলের ক্রিকেট প্রতিয়োগিতায় অতিথি হয়ে এসেছিলেন পাপালি। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে ক্রিকেট প্রতিভা রয়েছে। হয়তো সঠিক জায়গায়, সঠিক ভাবে রান করতে বা পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে না তারা। ক্রিকেটের জন্য তাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ক্রিকেটার তুলে আনতে পরিকাঠামো দরকার। তবে সেটা না থাকলে হবে না তা নয়। একা একা চেষ্টা করেও অনেক কিছু করা যায়। নিজেদেরকেই লড়াই করে উঠে আসতে হবে।’’
ক্রিকেটে সতীর্থ অশোক দিন্দার উদাহরণ মনে করিয়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ও উঠে এসেছে। সেখানেও তো পরিকাঠামো অনেক কিছুই ছিল না।’’ বাস্তবে, এক সময় শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় গিয়ে ক্রিকেট খেলতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে ঋদ্ধিকেও। শিলিগুড়িতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ম্যাট পেতে খেলা হয়। টার্ফ উইকেটে অনুশীলনের অভাব রয়েছে। ঋদ্ধিমান বলেন, ‘‘আমরাও ম্যাটে খেলেছি। পরে এক দুই বছর টার্ফে খেলার সুযোগ হয়।’’ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংখ্যা আগের চেয়ে কমে থাকলে সেটা একটা সমস্যা হতে পারে বলে জানান।
শিলিগুড়িতে ক্রিকেট মাঠ ও নানা পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এ সব নানা কারণে ঋদ্ধিমান, কামাল হাসান মণ্ডল, দেবব্রত দাসদের পর আর কেউ উঠে আসছে না বলে বুধবার শিলিগুড়িতে সাফ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে এসে জানিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সে কারণেই শিলিগুড়িতে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান তিনি। তবে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি ঋদ্ধি। বিসিসিআই মামলার রায় বা ওয়ান-ডে এবং টি টোয়েন্টি থেকে ধোনির অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়েও কিছু বলতে চাননি ঋদ্ধি। তিনি কেবল বলেন, ‘‘এ সব ব্যাপারে বলা নিষেধ রয়েছে। বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy