Advertisement
E-Paper

অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য স্থির রেখেই ঋদ্ধির লড়াই চলছে

বাংলার তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডে কিপিং করা বেশ কঠিন। ওখানে বল অনেক বেশি নড়াচড়া করে। একেবারে শেষ পর্যন্ত বল দেখে কিপিং করতে হয়। স্টাম্পের পিছনে এসেও বলের গতিপথ পাল্টে যেতে পারে। তাই বলের ওপর শেষ পর্যন্ত চোখ রাখতে হয় আর এ জন্য শারীরিক ক্ষিপ্রতাও খুব প্রয়োজন।’’ 

রাজীব ঘোষ

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৯

একটা সময় লর্ডস বা বার্মিংহাম টেস্টে স্টাম্পের পিছনে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ইংল্যান্ডে সেই টেস্ট সিরিজ চলছে ঠিকই। কিন্তু স্টাম্পের পিছনে তিনি নেই। রয়েছেন নবাগত ঋষভ পন্থ। আর বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকেডেমিতে নিজের ঘরে বসে ঋদ্ধিমান সাহা রোজ টিভিতে দেখছেন তাঁর কিপিং। দেশের ক্রিকেট মহল বলছে, ঋষভকে অনেক সময় দিতে হবে। বিরাট কোহালির দলের এক নম্বর উইকেটকিপার ঋদ্ধির কী মনে হচ্ছে?

রবিবার রাতে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং দেখতে দেখতে ফোনে বললেন, ‘‘আমি দলের কোনও সদস্যের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’’ তবে বলছেন, ইংল্যান্ডে কিপিং করা মোটেই সোজা নয়। বাংলার তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডে কিপিং করা বেশ কঠিন। ওখানে বল অনেক বেশি নড়াচড়া করে। একেবারে শেষ পর্যন্ত বল দেখে কিপিং করতে হয়। স্টাম্পের পিছনে এসেও বলের গতিপথ পাল্টে যেতে পারে। তাই বলের ওপর শেষ পর্যন্ত চোখ রাখতে হয় আর এ জন্য শারীরিক ক্ষিপ্রতাও খুব প্রয়োজন।’’

ভারত ‘এ’-র হয়ে ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। এ বার সুযোগ থাকলেও পারলেন না কাঁধের চোটের জন্য। তাই মন খারাপ। বললেন, ‘‘ইংল্যান্ডে খেলার আশা খুবই ছিল। সে ভাবে নিজেকে প্রস্তুতও করছিলাম। কিন্তু চোট থাকলে আর কী করা যাবে? ৫০-৬০ শতাংশ ফিট হয়ে তো আর ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া যায় না।’’ বিলেতে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে তাই বলছেন, ‘‘বিভিন্ন দেশে কিপিং করাটা এক এক রকম চ্যালেঞ্জ। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন বাউন্স থাকে বেশি। ইংল্যান্ডে সুইং হয় বেশি। এই দুই দেশে কিপিং করার পদ্ধতি অনেকটাই আলাদা।’’

ইংল্যান্ডে কিপিং নিয়ে ঋদ্ধি আরও বলেন, ‘‘স্লিপ ফিল্ডাররা কিপারের থেকে কতটা দূরে দাঁড়াচ্ছে, এটা বড় ফ্যাক্টর ওখানে। কিপারের হাতে গ্লাভস থাকে, স্লিপ ফিল্ডারদের কিন্তু থাকে না। ফলে কিপারকে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে হয় আর অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষিপ্র হতে হয়। কারণ, এই অবস্থায় কিপার প্রতিক্রিয়ার সময় অনেক কম পায়। তা ছাড়া বিভিন্ন বোলার বিভিন্ন ধরনের মুভমেন্ট পায় ওখানে। প্রতি বোলারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ।’’

জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এখন সকাল-বিকেল দু’বেলাই রিহ্যাব করছেন ঋদ্ধি। বললেন, ‘‘আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল ভাবে কাঁধ নড়াচড়া করাতে পারছি। সকালে ঘণ্টা দুয়েক শারীরিক ড্রিল করছি আর বিকেলে কার্ডিও সেশন। যাতে দমটা ঠিক থাকে। ডাক্তাররা বলছেন, আশানুরূপ উন্নতিই হচ্ছে আমার চোটের। তবে কবে মাঠে ফিরতে পারব, সেই ইঙ্গিত এখনও পাইনি। এখন শুধু ডাক্তার-ফিজিয়োদের কথা মতো কাজ করে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’

ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলার স্বপ্ন সফল হয়নি। এ বার অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন ঋদ্ধিমান। বললেন, ‘‘ডাক্তাররা যখন বলছেন স্বাভাবিক গতিতেই সারছে আমার চোট, তখন অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আশায় তো আছিই। এখন সেই আশা নিয়েই অক্ষরে অক্ষরে সব নির্দেশ পালন করে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত যেতে পারব কি না, জানি না। কিন্তু চেষ্টা করে যেতেই হবে।’’

এ জন্য ঋদ্ধি চান সারা বাংলার শুভেচ্ছা। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে বললেন, ‘‘সবার শুভেচ্ছা থাকলে আশা করি অস্ট্রেলিয়া যেতে পারব।’’

Cricket Test India Australia Wriddhiman Saha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy