Advertisement
E-Paper

গোলরক্ষক বাবার কাছে হাতেখড়ি এই লাফের

বৃহস্পতিবার পুণেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে পাখির মতো উড়ে গিয়ে স্টিভ ও’কেফি-র ক্যাচ ধরার পর থেকেই তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে সুপারম্যানের সঙ্গে।

শুভজিৎ মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৯
অবিশ্বাস্য ক্যাচে ঋদ্ধিমান কেড়ে নিলেন ক্রিকেট দুনিয়ার নজর।

অবিশ্বাস্য ক্যাচে ঋদ্ধিমান কেড়ে নিলেন ক্রিকেট দুনিয়ার নজর।

বৃহস্পতিবার পুণেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে পাখির মতো উড়ে গিয়ে স্টিভ ও’কেফি-র ক্যাচ ধরার পর থেকেই তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে সুপারম্যানের সঙ্গে। সেই ঋদ্ধিমান সাহার উইকেটকিপিংয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল এক জন গোলরক্ষকের কাছে! তিনি— প্রশান্ত সাহা। ভারতীয় দলের এক নম্বর উইকেটকিপারের বাবা।

ঋদ্ধিমানের বয়স তখন মাত্র দশ। শিলিগুড়ির শক্তিগড়ে বাড়ির সামনের মাঠেই ছেলেকে নিয়ে নেমে পড়তেন প্রশান্তবাবু। নিজে গোলকিপার ছিলেন। সেই সূত্রে অগ্রগামী সংঘের ক্রিকেট দলে উইকেটকিপিংও করতেন। ঋদ্ধিমানের শৈশবের কোচ জয়ন্ত ভৌমিক বলছেন, ‘‘ঋদ্ধির বাবা অসাধারণ গোলকিপার ছিলেন। কলকাতার ক্লাবে সুযোগ পেয়েও পারিবারিক কারণে উনি যেতে পারেননি। অবিশ্বাস্য দক্ষতায় শরীর শূন্যে ছুড়ে ক্যাচ নিতেন। বাবার গুণই পেয়েছে ঋদ্ধিমান।’’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি থেকে ফোনে ঋদ্ধির বাবা প্রশান্ত সাহা-ও বললেন, ‘‘জয়ন্তর কাছে পাঠানোর আগে আমিই ঋদ্ধিকে অনুশীলন করাতাম। বাড়ির সামনের মাঠে কখনও ফুটবল। কখনও আবার ক্যাম্বিস বল ছুড়ে ছুড়ে দিতাম। ঋদ্ধিকে বলতাম, ডাইভ দিয়ে ধরতে। অত ছোট বয়সেও ঋদ্ধি সাধ্য মতো চেষ্টা করত।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘নিজে গোলকিপিং করতাম। জানি শরীর শূন্য ভাসিয়ে বল ধরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’’

কোহালির অভিনন্দন। ছবি: পিটিআই।

ঋদ্ধিমানের ক্যাচ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় চললেও আশ্চর্য রকম নির্লিপ্ত তাঁর বাবা ও কোচ। দু’জনেই বললেন, ‘‘এ রকম ক্যাচ ঋদ্ধি এর আগেও প্রচুর নিয়েছে। তাই আমরা অবাক হইনি।’’ দেশের এক নম্বর উইকেটকিপারের ছোটবেলার কোচ জয়ন্তবাবু যোগ করলেন, ‘‘ঋদ্ধির শরীর ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব নমনীয়। এই কারণেই ও দ্রুত বলের কাছে পৌঁছতে পারে।’’

কীভাবে ক্যাচ প্র্যাক্টিস করতেন ঋদ্ধি? জয়ন্তবাবু বললেন, ‘‘ফিটনেসের ব্যাপারে এমনিতেই ঋদ্ধি প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে। আর নিখুঁত ভাবে ক্যাচ ধরার জন্য নিয়মিত প্রচুর স্কিপিং করে।’’

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দিনের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই কোচকে হোয়্যাটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিলেন ঋদ্ধি। ভারতীয় ক্রিকেটের সুপারম্যানের কোচ বললেন, ‘‘ঋদ্ধি জানতে চাইল আমি খেলা দেখেছি কি না। আর আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও কীভাবে টিকে গেল অস্ট্রেলিয়া?’’ ঋদ্ধি কী বললেন? জয়ন্তবাবু বললেন, ‘‘মিচেল স্টার্ক-কে আউট করতে পারলাম না যে।’’

Wriddhiman Saha Flying Jump Goalkeeper Father
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy