হাতে পেনসিল শুধু কলকাতা লিগ। আর কোনও ট্রফি এ বার নেই ইস্টবেঙ্গলে।
অবনমনের আওতায় পড়ে থাকা ছয়টি দলের (মোহনবাগান, মহমেডান, রাংদাজিদ, চার্চিল ব্রাদার্স, ইউনাইটেড, মুম্বই এফ সি) মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোন ক্লাব নামবে এবং সেটা কলকাতার তিন দলের কেউ হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তুঙ্গে। চলছে অঙ্ক কষাও। ১৫ থেকে ২১ পয়েন্টের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে অবনমনে থাকা দলগুলি। লড়াই এত তীব্র যে, একটা ম্যাচে জয় বা ড্র করলেই সব ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রশ্নে অবশ্য বেঙ্গালুরু অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তাড়া করছে, পুণে, সালগাওকর, স্পোর্টিং ক্লুব। কিন্তু চ্যাম্পিয়নের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল কোথায় গিয়ে শেষ করবে এ বার তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। চার নম্বরে না আরও পরে? লাজং ম্যাচে পয়েন্ট নষ্টের লিগ টেবিলে কোথায় থাকবেন তা বলতে চাননি আর্মান্দো। বলে দিয়েছেন, “যতটা ওপরে ওঠা যায়। সেই চেষ্টা করব।”
চোট পেয়ে মাঠের বাইরে এখন অধিনায়ক মেহতাব হোসেন। লাল হলুদ মিডফিল্ড জেনারেলের মতে আই লিগ জেতার ব্যাপারে ‘ফেভারিট’ সুনীল ছেত্রীদের দল। “আমার মনে হয় বেঙ্গালুরুর জেতা উচিত আই লিগ। ওরা ভাল ফর্মে আছে। কিন্তু এখনও তিনটে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে বেঙ্গালুরুকে। তাই পুণে আর সালগাওকরের কাছে সুযোগ আসতে পারে লিগ জেতার।” আর ইস্টবেঙ্গল? মেহতাবের সংযোজন, “এখনই বলা মুশকিল যে আমরা লিগ টেবিলে কোথায় শেষ করব। অনেক অঙ্কের ব্যাপার আছে। কিন্তু চারের মধ্যে শেষ করতে পারলে খুশিই হব।”
ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট এখন ১৬ ম্যাচে ২৪। তাদের ম্যাচ বাকি আরও আটটা। অন্য দলের তুলনায় এটাই বড় অ্যাডভান্টেজ আর্মান্দোর দলের। কারণ অন্য দলগুলির অন্তত পাঁচ-ছটি করে ম্যাচ বাকি। ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে পুণের সঙ্গে দু’বার, মহমেডান, ইউনাইটেড, চার্চিল, মুম্বই, স্পোর্টিং ক্লুব এবং রাংদাজিদ। তা সত্ত্বেও খেতাবের লড়াইয়ে আছেন মানতে চান না হরমনজোত সিংহ খাবড়া। বলেন, “আমরা জানতাম যে প্রতিটা ম্যাচই নক-আউট। লাজং এফসি-র সঙ্গে ড্র করে আর আমাদের হাতে কিছু নেই। নিজেদের ম্যাচ জেতো আর অপেক্ষা করো অন্যরা কবে পয়েন্ট নষ্ট করবে। কিন্তু বাকি ম্যাচের বেশির ভাগ জিততে পারলে তিন বা চার নম্বরে শেষ করতেই পারি।”
ডেম্পোয় আর্মান্দো কোলাসোর সঙ্গে চার বার আই লিগ জিতেছেন গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডল। অভিজ্ঞতা প্রচুর। বলে দিচ্ছেন, “এই মরসুমে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। কয়েকটা ম্যাচ ভাল খেলেছি তো কিছু ম্যাচ খুব খারাপ খেলেছি। ধারাবাহিক না হতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। আমরা এখন বেঙ্গালুরুর তুলনায় ১৩ পয়েন্ট পিছনে। এই অবস্থায় পয়েন্টের ব্যবধান কমানো খুব কঠিন। আমরা কোথায় গিয়ে শেষ করব বলা মুশকিল। চার-পাঁচে করলে সেটা ভাল ফল হবে। ”
যখন দলের প্রায় সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন, নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার চিডি এডে মনে করছেন লড়াই শেষ পর্যন্ত চলবে। সালগাওকরের হয়ে আই লিগ জেতা চিডি বলছিলেন, “কে কী বলছে জানি না, আমি কিন্তু এখনও মনে করছি ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ আছে। কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক কী হয়। তবে এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারটা আমাদের হাতে নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy