তাঁর ঘরের দল আইএসএলে ভাল শুরু করেও দ্বিতীয় ম্যাচে কলকাতার কাছে হেরে চাপে। কিন্তু মেরি কম টুর্নামেন্টের ব্যাপকতায় বেশি মুগ্ধ। যত না শুধু নিজের অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের সাফল্য-ব্যর্থতায়। তবে সময় পেলেই গুয়াহাটিতে এসে জন আব্রাহামের দলের জন্য গলা ফাটাবেন যে, সেটা আনন্দবাজারকে জানিয়ে দিলেন অলিম্পিক ব্রোঞ্জ ও এশিয়াড সোনাজয়ী দেশের মহাতারকা মেয়ে বক্সার।
প্রশ্ন: আইএলএলে আপনার ঘরের টিম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুর্নামেন্ট নিয়ে আপনার মতামত কী?
মেরি: আইএসএল ভারতীয় ফুটবলে একটা টানির্ং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। সকাল দেখেই যেমন সারা দিনটা কেমন কাটবে তার আঁচ পাওয়া যায়, তেমনই মনে হচ্ছে, আইএসএলের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবল এক অন্য স্তরে পৌঁছে যাবে।
প্র: টুর্নামেন্টে উত্তর-পূর্বের নিজেদের দল খেলছে। সেখানে ফুটবলাররাও অধিকাংশই শিলং লাজংয়ের। কী ভাবে আইএসএস উত্তর-পূর্ব ভারতে ফুটবলের উন্নতি ঘটাতে পারে
মেরি: উত্তর-পূর্বের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই অন্য খেলার চেয়ে ফুটবলের বেশি ভক্ত। এই টুর্নামেন্ট কমবয়সিদের ফুটবল খেলায় আরও উত্সাহিত করবে। কেবল সময় কাটানো নয়, পেশা হিসাবে ফুটবলকে বেছে নিতে চাইবে অনেকে।
প্র: নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে কী ভাবে উদ্ধুদ্ধ করতে চান?
মেরি: আমার স্বামী ভাল ফুটবলার ছিলেন। আমিও ফুটবল ফ্যান। আইএসএলের হাত ধরে এ দেশে ফুটবলের নবজাগরণের সাক্ষী থাকতে সব ম্যাচেই মাঠে থাকতে চাই। চাই নিজের অঞ্চলের দলের হয়ে গলা ফাটাতে চাই। কিন্তু সেই সময়টা পাচ্ছি না। মাঠে গিয়ে নর্থইস্টের খেলা দেখার সুযোগ খুঁজছি। ভবিষ্যতে বাড়িতে থাকলে নর্থইস্টের খেলা দেখতে অবশ্যই গুয়াহাটি আসব।
প্র: আইএসএলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের মালিকানা নিতে সেলিব্রিটিরা সাগ্রহে এগিয়ে এসেছেন। বলিউড আর ক্রিকেটের তারকাদের এগিয়ে আসাটা ভারতীয় ফুটবলের পক্ষে কতটা শুভ লক্ষণ?
মেরি: এ নিয়ে কোনও সন্দেহ আছে না কি? আমি ওঁদের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাই। এটা কেবল ভাল লক্ষণই নয়, আইএসএল গোড়াতেই যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে, বলিউড আর ক্রিকেট তারকাদের উদ্যোগের সাফল্য এর মধ্যেই অনেকটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy