রাজস্থানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার যদি আমিরশাহিতে আমাদের শেষ ম্যাচটা জিততে পারি, তা হলে ভারতে ৩:২ রেকর্ড নিয়ে যাব। যেটা বেশ তৃপ্তির। তবে রাজস্থানের রেকর্ডটা আমাদেরই মতো। ওরাও চাইবে জিতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দেশে ফিরতে। ওদের দেখে মনে হচ্ছে টিমটা বেশ আনন্দে রয়েছে। ওদের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন বেশ জনপ্রিয়, আর টিম স্পিরিটও ভাল। তবে কয়েক ঘণ্টার জন্য ওদের হাসি মুছিয়ে দিতে পারলে আমরা ভীষণ খুশি হব।
গ্যালারি থেকে বা টিভিতে যাঁরা ম্যাচ দেখছেন, তাঁদের কাছে হয়তো এখানকার পিচ ঠিকঠাক লাগছে। কিন্তু ঘটনা হল, পিচটা অস্বস্তিকর। মাঝে মধ্যে অসমান, ডাবল পেস্ড পিচের চেয়ে খুব খারাপ পিচে খেলাটা বেশি সহজ। বছরদুয়েক আগে ব্যাটসম্যানরা জানতে পেরেছিলাম, আমরা যেটাকে ‘অসম্ভব’ ভাবতাম সেটা পুরো পাল্টে গিয়েছে। আগে বেশির ভাগ টিম এক ওভারে দশ বা বারো রান তুলতে পারত না। এখন ওভারপিছু ১৫ রান উঠে যাচ্ছে। এখন ‘সম্ভব’-এর নতুন ব্যাখ্যা খোঁজা বোলারদের কাজ। ওরা আগে ভাবত শেষ ওভারে ৯ বা ১০ রান ডিফেন্ড করা অসম্ভব। এখন তো অনেক বার দেখেছি ৬ বা ৭ রানও সফল ভাবে ডিফেন্ড হয়ে যাচ্ছে। দুটো ডট বলই তফাত গড়ে দিচ্ছে।
আমাদের ক্রিস লিন প্রথমে ব্যাট হাতে, তার পর এবি ডে’ভিলিয়ার্সের ওই দুর্দান্ত ক্যাচটা নিয়ে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাত্র দু’বল বাকি থাকতে আমাদের হাতে ম্যাচের রাশ তুলে দিয়েছিল। ক্রিস দারুণ টিম ম্যান। সব সময় হাসছে, মজা করছে। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে যখন সবাই কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন ওর মতো একজনকে টিমের খুব দরকার।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে যা চেয়েছিলাম তার চেয়ে কম রান তুললেও স্কোরটা যথেষ্ট লড়াকু ছিল। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখনও কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। টি-টোয়েন্টিতে সেটা করাও যায় না, কারণ এই ফর্ম্যাটে যখন যা খুশি হয়ে যেতে পারে। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, পরের ম্যাচে কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নামার শুরু থেকেই সব গোলমাল হয়ে গেল। আমরা ভাল বোলিং আর ফিল্ডিং করেছিলাম। কিন্তু শুরুতেই দু’একটা উইকেট হারিয়ে ফেললে ১৩২-এর স্কোরটাকেই যথেষ্ট ভাল দেখাতে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy