জাতীয় গেমসে বাংলার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রণতি নায়েক। বেআইনিভাবে নেমেছেন বলে দুপুরে ওই জিমন্যাস্টের পদক কেড়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও সন্ধ্যায় তা বদলে যায়। হঠাত্-ই তাঁকে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে তুলে দ্বিতীয় স্থানের পদক দেওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বত্র। রাত পর্যন্ত চলছে ক্ষোভের পালা। চলছে ফোনাফুনি। বাংলার কর্তারাও যা দেখে রীতিমতো হতবাক।
বাংলার সঙ্গে একই ট্রেনে কেরলে পৌঁছে মধ্যপ্রদেশের হয়ে নেমে পড়েছিলেন প্রণতি নায়েক। বাংলার কর্তাদের ধোঁকা দিতে কোমরে ব্যথা বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন বাংলার ট্রায়ালও। তাতে প্রণতির উপর প্রচণ্ড চটে যান বাংলার অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা। তাঁরা আগেই অভিযোগ জানিয়ে রেখেছিলেন জাতীয় গেমসের সংগঠকদের কাছে। শুরুতে তা মেনেও নেন সংগঠকরা। কিন্তু পরে তা উল্টে যায়। বিওএ প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় কেরল থেকে ফোনে বললেন, “ওর পদক কেড়ে নেওয়া হোক এটা আমরা মন থেকে চাইছি না। কিন্তু শৃঙ্খলা বলে তো একটা ব্যাপার থাকে। ও তো আমাদের নথিভুক্ত ক্রীড়াবিদ। মধ্যপ্রদেশের হয়ে নামার অনুমতি তো নেয়নি। সে জন্যই একটা বিহিত চাইছি।” রাত পর্যন্ত যা খবর তাতে মেয়েদের অল রাউন্ড বিভাগে প্রথম হয়েছেন ত্রিপুরার দীপ কর্মকার। দ্বিতীয় বিতর্কিত প্রণতি নায়েক। যিনি বাংলার মেয়ে হয়েও নেমেছেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে। তৃতীয় বাংলার প্রণতি দাশ।
প্রণতি নায়েকের মতো স্কোয়াশের সৌরভ ঘোষালকে নিয়েও চলছে নাটক। তামিলনাড়ুর হয়ে নামছেন বাংলার এই তারকা। সে জন্য দিল্লির তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। যা খবর, সৌরভকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে দিল্লি।
ফুটবলে এ দিনও জিততে পারেনি রজত ঘোষ দস্তিদারের বাংলা। সার্ভিসেসের কাছে ০-২ পিছিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে মুখ রক্ষা হয় তাদের। পেনাল্টি থেকে গোল করেন শুভজিত্ মজুমদার। খেলা শেষ পযর্ন্ত ২-২ গোলে ড্র হয়। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের যা অবস্থা তাতে শেষ ম্যাচে পঞ্জাবের সঙ্গে জিতলেই শেষ আটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
জাতীয় গেমসের টেবল টেনিসে এখনও সোনার মুখ দেখতে পায়নি বাংলা। এ দিন রাত পর্যন্ত গোটা পাঁচেক রুপো-ব্রোঞ্জ পেয়েছেন সৌম্যদীপ-অঙ্কিতারা। তাতে অবশ্য খুশি নন বিওএ কর্তারা। এক কর্তা হতাশ হয়ে বললেন, “টিটি থেকে আমরা বেশ কিছু সোনা আশা করেছিলাম। সেটা কিন্তু এখনও হয়নি। আর সোনা বেশি না পেলে পদক-তালিকায় পরে উঠব কী করে?” সাঁতারে এ দিন আরও একটি রুপো জিতলেন সুপ্রিয় মণ্ডল। এটা তিন নম্বর রুপো কোলাঘাটের ছেলের। ব্রোঞ্জ পেলেন তনুকা ধারা। কুস্তিতেও একটি রুপো আর দু’টো ব্রোঞ্জ এল বাংলার ঘরে।
নদিয়ার হাবিবপুরের মেয়ে রাখী হালদার ভারোত্তোলনে আরও একটি ব্রোঞ্জ জিতলেন। ব্রোঞ্জ পেল খো খো দলও। তবে হ্যান্ডবল দল নামানো নিয়ে ঝামেলা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy