জয়ের স্মারক হাতে অয়ন। —নিজস্ব চিত্র।
আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় যোগদানের সুযোগ পেল মেদিনীপুরের অয়ন দাস। এবার আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে লন্ডনে। তাতে পশ্চিমবঙ্গের তিনজন যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন হলেন সৌগতা জানা ও দীপান্বিতা মণ্ডল। আর রয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র অয়ন। আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি অয়ন ও তাঁর পরিবার। অয়নের কথায়, “ছোট্ট থেকেই যোগাসন করে আসছি। রাজ্য ও জেলা স্তরের নানা প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও পেয়েছি। আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ পাব বলে ভাবিনি। পেয়ে ভীষণ ভাল লাগছে।” বাবা হরি দাসের কথায়, “ছেলের এমন সুযোগ পাওয়ার খবর শুনেই ভাল লাগছিল। বিদেশে পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছি। আর তা করতে গিয়েই কিছুটা দুশ্চিন্তাও হচ্ছে। সামান্য মাছ ব্যবসা করে সংসার চালাই। শেষ পর্যন্ত এত খরচ জোটাতে পারব তো।”
মেদিনীপুর শহরের বক্সীবাজার এলাকার বাসিন্দা অয়ন। মেদিনীপুর শহরেরই বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট্ট থেকেই পাড়ার হীরক শিশু সঙ্ঘে যোগাসন প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু। মাঝে শারীরিক কারনে কিছুদিন তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফের শুরু। চলতি বছরেই সারা বাংলা অতুল্য ঘোষ স্মৃতি যোগাসন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন। চলতি বছরেই আন্তার্জাতিক যোগাসন ফেডারেশনের তত্বাবধানে রাজকোটে আয়োজিত জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতাতেও দ্বিতীয় স্থান লাভ করে অয়ন। অয়নের প্রশিক্ষক শম্ভু আঢ্যর কথায়, “আমার আশা, আন্তর্জাতিক স্তরেও ভাল ফল করবে অয়ন।”
চলতি বছরের ১১ তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি হবে লন্ডনে। যার পোশাকি নাম বি সি ঘোষ কাপ। হবে ৩১ মে ও ১ জুন- দু’দিন ধরে। তার প্রস্তুতি অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে। অয়ন যেমন ভাল ফলের আশায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তেমনি তার যাওয়ার ব্যবস্থা করতে নেমে পড়েছেন বাবা ও কোচ। যোগা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনও নানা দিক দিয়ে সাহায্য করে চলেছে। কারণ, এই সংগঠনের মাধ্যমেই নানা প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল অয়ন। যাতায়াতের খরচ জোটানোর জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন বাবা। আবার বিদেশ যাত্রার প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে প্রশাসনের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন। হরিবাবুর কথায়, “যত কষ্টই হোক, ছেলেকে প্রতিযোগিতায় পাঠাবই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy