রাংদাজিদ- ৩ (তোম্বা, কিম, র্যান্টি)
মোহনবাগান- ১ (ওডাফা)
গত তিন মাসে আই লিগের পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগান। তবু জয়ের ‘দেখা নাই রে’। উলটে ম্যাচ পিছু যে এক পয়েন্ট আসছিল, সেটাও বন্ধ হয়ে গেল পাহাড়ে গিয়ে। শনিবার শিলংয়ের দল রাংদাজিদের কাছে ১-৩ গোলে হেরে গেলেন ওডাফারা।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, ওডাফাদের বিশ্রী হারের পর ফের অবনমনের কালো ছায়া ঘুরঘুর করতে শুরু করে দিল বাগানে। অন্তত লিগ টেবিলে সেই তথ্যই ফুটে উঠছে। ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে যেখানে নবম স্থানে করিমের দল, সেখানে একটা ম্যাচ কম খেলে ইউনাইটেড স্পোর্টস ও মুম্বই এফসি-র পয়েন্ট ২০। এই মুহূর্তে আই লিগের শেষ দু’টো ক্লাব মহমেডান (১৮ ম্যাচে ১৭) ও চার্চিল (১৭ ম্যাচে ১৫)। অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে, করিমের অবনমন বাঁচানোর অঙ্ক ততই কঠিন হয়ে উঠছে। কারণ মোহন-কোচের হাতে যে আর মাত্র চারটে লাইফলাইন পড়ে! স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া, বেঙ্গালুরু, ইউনাইটেড স্পোর্টস ও লাজং।
এখন প্রশ্ন, পুরোপুরি অবনমন-মুক্ত হতে গেলে মোহনবাগানকে কত পয়েন্ট পেতে হবে? পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, তিনটে ম্যাচ তো জিততেই হবে। তার পরেও তাকিয়ে থাকতে হবে চার্চিল, মহমেডান, মুম্বই ও ইউনাইটেডের দিকে। যদিও বাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা শিলং থেকে ফোনে বললেন, “মোহনবাগান অবনমন হবে না। তবে শুধু ফুটবলার-কোচ নয়, ক্লাবের সবাইকে নিজেদের কাজ সঠিক ভাবে করতে হবে।”
করিমকে আত্মবিশ্বাসী শোনালেও, শনিবারের ম্যাচের স্কোর কিন্তু খুব একটা আশার আলো দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে যখন বিরতির আগেই তিন গোলের বোঝা অস্বস্তিতে ফেলে দিল মোহনবাগানকে। রাংদাজিদের তিনটে গোলের পিছনেই সন্দীপ নন্দীর কম-বেশি দোষ আছে। তোম্বা ও কিম ইয়ংয়ের প্রথম দু’টো গোলে একা দায়ী তিনি। আর র্যান্টির তৃতীয় গোলে সন্দীপের সঙ্গে সমান ভাবে দোষী বাগানের দুই ডিফেন্ডার কিংশুক-শৌভিকের ভুল বোঝাপড়া। তবে রক্ষণের সমস্যা করিমকে চাপে রাখলেও, ওডাফার মারকাটারি মনোভাব নিশ্চয়ই কিছুটা অক্সিজেন দেবে বাগানের মরক্কান কোচকে। বহুদিন পর গোল পেলেন ওডাফা। তবে সেটা কোনও কাজে লাগল না। এ দিন একটা গোল করে দলের ব্যবধানই তিনি কমালেন না, আরও তিন-চারটে সুযোগও তৈরি করলেন নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার। মোহন-অধিনায়ক চেষ্টা করেও অবশ্য সাহস জোগাতে পারেননি ক্রিস্টোফারদের। তিন গোলের চাপে থাকলে যা ফেরানো কঠিন। বাগানের ফের অবনমনে চলে যাওয়ার দিনে কিন্তু র্যান্টি মার্টিন্সের রাংদাজিদ ঘরের মাঠে টানা তিনটে ম্যাচ জিতে ক্রমশ অবনমন আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করল। এ দিন তারা করিমের টিমকে টপকেও গেল লিগ টেবিলে।
অবনমন বাঁচানোর যুদ্ধে মোহনবাগানের জন্য একটাই সুখবর, চারটের মধ্যে তিনটে ম্যাচ কলকাতায়। করিম অবশ্য অ্যাওয়ে-হোমের তথ্য নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না। তাঁর কথায়, “এখন সব ম্যাচ জিততে হবে। ঘরে খেলা বা বাইরে খেলার কোনও গুরুত্ব নেই।”
মোহনবাগান: সন্দীপ, প্রীতম, কিংশুক, শৌভিক, ইচে, ডেনসন, কাতসুমি, মণীশ (জাকির), পঙ্কজ, ক্রিস্টোফার, ওডাফা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy