গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
বকেয়া ছিল মাত্র তিন হাজার টাকা। বার বার সে টাকা চেয়েও পাননি। অবশেষে সে আক্রোশেই মালিকের তিন বছরের শিশুপুত্রকে খুন করল কর্মচারী। তদন্ত নেমে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাতে বর্ধমান স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ সেলিম। সোমবার হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকড়া বাজারে ওই শিশুটিকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খুন হওয়া শিশুটির নাম মহম্মদ ইবরান।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি চুড়ি কারখানার মালিক মহম্মদ ইস্তিকার গত কাল বিকেলবেলায় জোমজুড় থানায় অভিযোগ জানান, তাঁর নাবালক ছেলেকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল ছিল তাঁর কর্মচারীর সেলিমের দিকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত কর্মচারী মহম্মদ সেলিম তাঁর পাওনার তিন হাজার টাকা চাইছিলেন ইস্তিকারের কাছে। কিন্তু, ইস্তিকার তা দিতে অস্বীকার করেন। এবং তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে সম্প্রতি বচসা বেধেছিল। এ নিয়ে গত কালও তুমুল ঝামেলা হয় দু’জনের মধ্যে। এমনকি, ইস্তিকারের বাড়িতে গিয়েও টাকা চান সেলিম। গত কাল সকালে সে টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে সেলিম। বিকেলে তাঁকে ফের বাড়িতে আসতে বলেন ইস্তিকার। কিন্তু, তখনও সে টাকা না পাওয়ায় ফের ঝামেলা শুরু হয়। ওই সময় উঠোনে খেলছিল ইস্তিকারের তিন বছরের ছেলে। বচসা চলাকালীন হঠাৎই শিশুটির গলায় ছুরি চালিয়ে দেন সেলিম। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। এ নিয়ে এলাকায় তুমুল হইচই শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু, তাকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ৫০ টাকাতেই ভিক্ষার জন্য মেলে শিশু
আরও পড়ুন: জন্মের শংসাপত্র পেতেও মমতার রাজ্যে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে!
এই ঘটনার পর অভিযুক্তের খোঁজে হাওড়া সিটি পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালায়। অবশেষে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই খুনের ঘটনার নেপথ্য কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তিন হাজার টাকার জন্যই কি এই খুন? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy