ছবি: পিটিআই।
সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। সেই স্থানগত পরিকাঠামোর পাশাপাশি ওই ভয়াল ভাইরাসের সক্রিয় মোকাবিলায় সাজসরঞ্জামের দিক থেকেও তাঁর সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি।
মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার নবান্নে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর ১১ লক্ষ পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই পোশাকের বরাত দিয়েছে। এক লক্ষ ৬৭ হাজার পিপিই পেয়ে পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। পিপিই-র কোনও অভাব নেই। যাঁরা এ-সব বলছেন, তাঁরা ঠিক বলছেন না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর হিসেব অনুযায়ী হাতে আসা বাকি ন’লক্ষ পিপিই পোশাক।
মমতার দাবি, সাত লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে। পাওয়া গিয়েছে ৬৫ হাজার ৭৫০টি। অর্থাৎ পাওয়া বাকি ছ’লক্ষ ৩০ হাজার মাস্ক। দ্বিস্তরীয় মাস্ক চাওয়া হয়েছিল চার লক্ষ, মিলেছে তিন লক্ষ। এখনও লাখখানেক পেতে বাকি। আট লক্ষ ত্রিস্তরীয় মাস্ক কেনার বরাত দিয়ে মিলেছে তিন লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতার একটি সংস্থা ৫০ হাজার হাত ধোয়ার সাবান দিয়েছিল। তা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২৯ হাজার লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বা হাতশুদ্ধির বরাত দিয়ে রাজ্য পেয়েছে ২৫ হাজার ৭০০ লিটার। পাওয়া বাকি ৩০০০ লিটার। ২০ হাজারটি থার্মাল গানের বরাত দিয়ে মিলেছে ৫০০০টি। পেতে বাকি ১৫ হাজারটি। করোনার দাপট শুরু হওয়ার পরে সরকার সামাজিক পেনশন প্রকল্পগুলিতে এপ্রিল-মে মাসের টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই অনুযায়ী এপ্রিলের শুরুতেই ৩৫ লক্ষ প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেনশন চলে গিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভারতের করোনা কি ব্রিটেনের মতো অতটা শক্তিশালী নয়?
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy