Advertisement
১০ মে ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

নন-কোভিডদের জন্য মেডিক্যালে পরিকাঠামো বৃদ্ধি

ইডেন বিল্ডিংয়ে স্ত্রীরোগ-প্রসূতি বিভাগের একশোটি শয্যা করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৬:০১
Share: Save:

নন-করোনা রোগীদের কথা ভেবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সংযুক্ত (অ্যানেক্স) হাসপাতাল লেডি ডাফরিন এবং মেয়ো হাসপাতালের পরিকাঠামো বৃদ্ধির উপরে জোর দিল স্বাস্থ্য ভবন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, শনিবার সেই কাজে লেডি ডাফরিন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য।

ইডেন বিল্ডিংয়ে স্ত্রীরোগ-প্রসূতি বিভাগের একশোটি শয্যা করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এমসিএইচ হাবে শিশুরোগ বিভাগের ৫০টি শয্যাও কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নন-করোনা রোগীদের কথা মাথায় রেখে লেডি ডাফরিনে স্ত্রীরোগ-প্রসূতি এবং শিশুরোগের চিকিৎসায় মোট ৩০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আরেকটি অ্যানেক্স বিল্ডিং মেয়ো হাসপাতালে সার্জারি, অস্থি, চক্ষু, নাক-কান-গলা এবং মেডিসিনের বহির্বিভাগ পরিষেবা পুরোদমে চালুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তিনতলার মেয়ো হাসপাতালকে দু’টি লিফট, র‌্যাম্প-সহ ছ’তলা ভবনে করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

নন-কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা চালুর দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ওই দু’টি হাসপাতালকে ব্যবহারের কথা বলেছিলেন। এ দিন পরিদর্শন শেষে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি জানান, লেডি ডাফরিনের এসএনসিইউয়ে শয্যা থাকবে ৪২টি। শিশুরোগের জন্য ৫০, স্ত্রীরোগের জন্য ৬৬, অস্ত্রোপচারের পরে রোগিণীদের রাখার জন্য ৪০টি এবং অস্ত্রোপচারের আগে ১০টি বেডে রোগিণী ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। যে রোগিণীদের রক্তচাপ, খিঁচুনির সমস্যা আছে তাঁদের জন্য আলাদা তিনটি শয্যা থাকছে।

এ দিকে মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রত্যাহার হওয়ার বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে একই দাবিতে এমআর বাঙুরে সুপারের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। অবস্থানকারীদের তরফে জুনিয়র চিকিৎসক সুমন পাল জানান, সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে স্ত্রীরোগ-প্রসূতি, শিশুরোগ, জেনারেল সার্জারি, মেডিসিনের পিজিটি’রা হাতেকলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘১১০০ শয্যার হাসপাতালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৭০ শতাংশ মানুষ নির্ভরশীল। অনেক রোগীর ফলো-আপের প্রয়োজন, কিন্তু তাঁদের সেই পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। মেডিক্যাল কলেজে নন-কোভিড পরিষেবা চালু করা গেলে এম আর বাঙুর কী দোষ করল?’’

এম আর বাঙুরের সুপার শিশির নস্কর বলেন, ‘‘জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE