প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের তরুণ আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের মামলার তদন্ত করতে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল আসছে এ রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের একটি জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা ২০১৪ ব্যাচের এই আইপিএসের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন দিল্লির এক তরুণী।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ওই তরুণীর দাবি, একাধিক বার তিনি ওই আইপিএস অফিসারের সঙ্গে দিল্লির একটি হোটেলে দেখা করেছেন। শনিবার নয়াদিল্লির বারাখাম্বা থানায় করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, নরম পানীয়ের সঙ্গে নেশার ওষুধ বা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁর সম্মতি ছাড়াই শারীরিক সম্পর্ক করেন অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার। পরে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ওই পুলিশ কর্তা। কিন্তু ওই আইপিএস অফিসারেরর পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের কথা পাকা হওয়ার পর থেকেই তরুণীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বলে অভিযোগ তরুণীর। তাঁর আরও অভিযোগ, ফোন, হোয়াটস অ্যাপে এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও তরুণীকে ব্লক করে দেন পুলিশ কর্তা।
সম্প্রতি অন্য এক তরুণীর সঙ্গে ওই পুলিশ কর্তার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ফের যোগাযোগের চেষ্টা করেন তিনি। সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজ্যের তরুণ আইপিএস
অভিযুক্ত বছর ছাব্বিশের ওই তরুণ আইপিএস-এ যোগ দেওয়ার আগে বিধানগর কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হয়েছিলেন। তার পর ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দিল্লিতে যান। সেখানেই ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ এবং পরে ঘনিষ্ঠতা। তদন্তকারীদের এমনটাই জানিয়েছেন ওই তরুণী। ২০১৪ ব্যাচের ওই অফিসার ২০১৬ সালে প্রশিক্ষণের পর এ রাজ্যে এসে কাজে যোগ দেন। বাঁকুড়াতে প্রবেশনার হিসাবে কাজ করার পর, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেই কাজ করেছেন।
দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছে। জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং’কে। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে এই অভিযোগকে কার্যত ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই আইপিএস। ওই অফিসারের দাবি, গোটা বিষয়টির সঙ্গে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিবার যুক্ত। তাঁরা আলোচনা করছেন। এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy