জুলাই মাসে দিল্লিতে একটি মঞ্চে তাপসের মা। ফাইল চিত্র
বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে দিল্লিতে ‘জনগণের ট্রাইব্যুনাল’-এ নিজেদের অভিযোগ পেশ করলেন দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা। এই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নেত্রী সুষমা স্বরাজও। ছিলেন বিজেপির নানা স্তরের আরও কয়েক জন নেতা সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। কনস্টিটিউশন ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় এই ট্রাইব্যুনাল হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। সেখানেই গিয়েছিলেন দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের মা-বাবা ও বোন। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন চোপড়ার নিহত অরিন সিংহের পরিবারের সদস্যরাও। রাজেশের বাবা নীলকমল সরকার বলেন, ‘‘আমাদের সব অভিযোগ লিখে নেওয়া হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।’’
২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের এই এলাকা। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাপস ও রাজেশের। দু’জনেই কলেজের ছাত্র। ওই দিন গুলিতে আহত হয়েছিলেন বিপ্লব সরকার নামে এক স্কুলছাত্রও।
ঘটনার পর থেকে নিহত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল বিজেপি। রাজেশ ও তাপসের পরিবারের লোকেদের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেন রাজেশ ও তাপসের পরিবারের লোকেরা।
সম্প্রতি ফের দিল্লিতে ডাক পড়ে ওই দুই পরিবার সহ ২০১৭ সালে চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ অরিন সিংহ এর পরিবারের সদস্যদের। রবিবার তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। বুধবার দিল্লির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। সেখানে নিজেদের অভিযোগ পেশ করেন। নিহত তাপসের বোন ডলি বলেন, ‘‘প্রত্যেকেই নিজেদের অভিযোগ পেশ করেছেন। সে দিনের পুরো ঘটনা জানিয়েছি আমরা। এমনকি ঘটনার যে তদন্ত হয়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে। আমরা অভিযোগ জানাব। আমরা চাই, ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক।’’
দাড়িভিট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি অনেক দিন ধরেই উঠছে। কিন্তু বিজেপির দাবি, কোনও তদন্তই হয়নি। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘দাড়িভিট স্কুল খোলার দিন যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার কোনওটাই পূরণ হয়নি আজও। ওই স্কুলে নতুন করে শিক্ষকও মেলেনি। শুরু হয়নি সিবিআই তদন্তও। রাজেশ, তাপসের পরিবারের লোকেরা ফিরলে ফের আন্দোলনে নামব আমরা।’’
তবে বুধবার দিল্লিতে এই ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমরাও চাই অভিযুক্তরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy