Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Secretary Dilip GHOSH

১ কোটি টাকা নিয়ে দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক ধৃত আসানসোলে

নগদ ১ কোটি টাকা নিয়ে আসানসোল স্টেশনে ধরা পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। ধৃতদের দাবি ‘পার্টি’র টাকা নিয়ে আসছিলেন তাঁরা।

বাঁ দিকে লক্ষ্মীকান্ত সাউ, ডান দিকে দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

বাঁ দিকে লক্ষ্মীকান্ত সাউ, ডান দিকে দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ১৫:১৯
Share: Save:

নগদ ১ কোটি টাকা নিয়ে আসানসোল স্টেশনে ধরা পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। ধৃতদের দাবি ‘পার্টি’র টাকা নিয়ে আসছিলেন তাঁরা। সেই টাকা তাঁরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দলকে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে আসানসোল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখা যায় দুই মধ্যবয়সি ব্যক্তিকে। আরপিএফ জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পুলিশের দাবি, তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় দু’জনকেই আটক করে রেল পুলিশ (জিআরপি)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

রেল পুলিশ তাঁদের সঙ্গে থাকা মালপত্র তল্লাশি করতে গিয়ে নগদ ১ কোটি টাকা উদ্ধার করে। সেই টাকা কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘আগে জানলে সানিকে গুরুদাসপুর থেকে প্রার্থী হতে দিতাম না’,বললেন ধর্মেন্দ্র

রেল পুলিশের ডিজি অধীর শর্মা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ওই দু’জন বলেছিলেন, এই টাকা ব্যবসার টাকা। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে এই টাকা তাঁরা তুলেছেন। কোনও ব্যাঙ্কের নথিই তাঁরা দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে স্বীকার করেন, দিল্লি থেকে তাঁরা টাকা নিয়ে আসছিলেন দলের নির্বাচনী খরচের জন্য। আদালত তাঁদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।’’

আরও পড়ুন: ‘সোনার বাংলাকে কাঙাল করে দিয়েছেন দিদি’, ক্যানিংয়ে তোপ অমিতের

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম লক্ষীকান্ত সাউ। দক্ষিণ দিল্লি থেকে ওই টাকা আনা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। গৌতম জেরায় নিজের রাজনৈতিক পরিচয় স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ। রেল পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, জেরায় গৌতম জানিয়েছেন তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক এবং উদ্ধার হওয়া টাকা দলের। সেই টাকা কোথা থেকে তিনি পেয়েছেন তা নিয়ে মুখ খোলেননি গৌতম এবং তাঁর সঙ্গী। তবে রেল পুলিশের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছেন নির্বাচনের জন্যই ওই টাকা তাঁরা নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে কার কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা স্পষ্ট করে বলেননি তাঁরা।

ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অংশুমান দত্তের উপস্থিতিতে এই গোটা টাকা গোনা হয় এবং বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের মধ্যে লক্ষ্মীকান্তের বাড়ি দিল্লির নেপাসরাইতে। গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘খোঁজথবর নিচ্ছি। গৌতম একটা সময়ে আমার আপ্তসহায়ক ছিল। এখন অন্য এক জন। বিধায়কের কাজকর্ম দেখত। তবে, যোগাযোগ আছে। এখন এটা কোথাকার টাকা, কী ব্যাপার খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। দলকে ফাঁসানোর অনেক চক্রান্ত চলছে। আমি খোঁজ না নিয়ে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE