Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
৮০%-২০% সূত্রে নম্বর
Coronavirus

পরীক্ষা নয় কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়েও

যদি কোনও পড়ুয়া এই পদ্ধতিতে প্রকাশিত ফলাফলে সন্তুষ্ট না-হন, তা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে তিনি পরীক্ষা দিতে পারবেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০৪:০৫
Share: Save:

করোনার জন্য স্কুল স্তরের মতো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা হবে না। চূড়ান্ত সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে আগের সিমেস্টারগুলির মধ্যে যেটির ফল সব থেকে ভাল, তার থেকে ৮০% নম্বর নেওয়া হবে। বাকি ২০% আসবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে। চূড়ান্ত অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের (পার্ট থ্রি) পরীক্ষার ক্ষেত্রে আগের দু’টি বর্ষের মধ্যে যেটির ফল বেশি ভাল, তার থেকে ৮০% নেওয়া হবে, বাকিটা আসবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে। মধ্যবর্তী সিমেস্টারের পড়ুয়াদের পরের সিমেস্টারে তুলে দেওয়া হবে।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা এবং পঠনপাঠন নিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে শনিবার যে-‘অ্যাডভাইজ়রি’ বা পরামর্শ-নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষ এবং চূড়ান্ত সিমেস্টারের ফলাফল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসি, টিচার্স ট্রেনিং এবং অন্যান্য পেশা-পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি মানা হবে। যদি কোনও পড়ুয়া এই পদ্ধতিতে প্রকাশিত ফলাফলে সন্তুষ্ট না-হন, তা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে তিনি পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু পরীক্ষায় বসে যে-নম্বর পাবেন, সেটাই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার কাছ থেকে আগে লিখিয়ে নেওয়া হবে, যে-পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন, তাতে যা ফল হবে, সেটিই তিনি মেনে নেবেন।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে শিক্ষাবর্ষ চালু করা হবে। করোনার জন্য পড়ুয়া এবং গবেষকেরা যে-সব ক্লাস করতে পারেননি, তাঁরা সেগুলি করেছেন বলে ধরা হবে। হোম অ্যাসাইনমেন্টের জন্য কোনও বাড়তি ফি নেওয়া যাবে না। দেশের অন্যান্য মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যে-পদ্ধতিতে চলছে, তা অনুসরণ করবে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা আবহে পড়ুয়াদের পড়াশোনা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত বক্তব্য শোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিকে ‘গ্রিভান্স সেল’ খুলতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে আর কোনও পরীক্ষা বা মূল্যায়ন চায়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে এবং অন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ, বিএসসিতে এখনও তিন বছরের (পার্ট থ্রি) পরীক্ষা হয়। সেখানে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বলে কিছু নেই বলে এ দিন জানান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সরকারি অ্যাডভাইজ়রি নিয়ে তাঁদের সিন্ডিকেটে আলোচনা হবে। বিএ, বিএসসি পার্ট থ্রি পরীক্ষার্থীদের আগের টেস্টের নম্বর রয়েছে। তার থেকে ২০% নেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। প্রশ্ন উঠছে, সিমেস্টার বা দ্বিতীয় বর্ষে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের কী হবে?

কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মূল্যায়ন কী ভাবে হবে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আগেই তা ঠিক করেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে আগের সিমেস্টার থেকে ৩০% এবং হোম অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে ৭০% নম্বর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কলা বিভাগের ক্ষেত্রে ভাগাভাগিটা ছিল ৬০% এবং ৪০%। সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিনই তো অ্যাডভাইজ়রি প্রকাশিত হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health COVID-19 Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE