মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাতের ডাক দেওয়ার পর থেকে দলের অনেকে তাঁকেই আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে দলের প্রথম সারির দুই নেতা ফিরহাদ হাকিম এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার দাবি জানালেন। দেশের মানুষের স্বার্থে যে রাজনৈতিক দল আগামী দিনে লড়াই করবে, তাদের পাশে থাকার বার্তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মমতাও। নতুন বছরের প্রাক্কালে ফেসবুক-বার্তায় ফের সে প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেছেন, ‘‘মানুষের জন্য সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে মিলে কাজ করুক, সেটাই চাই। এক লক্ষ্য নিয়ে যারা লড়বে, আমরা তাদের পাশে থাকব।’’
বছরের প্রথম দিন তৃণমূলের জন্মদিনও। মঙ্গলবার একুশে পদার্পণ করল তৃণমূল। তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি রাজ্যের সর্বত্রই ব্লকে ব্লকে দলীয় পতাকা উত্তোলিত করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। দলের জন্মদিন পালনের ফাঁকেই কলকাতার মেয়র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টই বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই। দেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার হওয়া উচিত। আর মমতাদি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সব মেয়ে কন্যাশ্রী পাবে, সব পড়ুয়ারা সবুজসাথী পাবে। কৃষকরা মৃত্যুকালীন অর্থ সাহায্য পাবে।’’ আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে মমতার ডাকে বিরোধী শক্তির প্রদর্শন নিয়ে আশাবাদী ফিরহাদ বলেন, ‘‘ব্রিগেডে এমন একটি বিরোধী শক্তির প্রদর্শন হবে, যাতে প্রমাণ হয়ে যাবে বাংলা আজ যা ভাবে, বাকি দেশ তা আগামী কাল ভাবে।’’
একই ভাবে মমতার নেতৃত্বে এ বছর দিল্লিতে সরকার উপহার দেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে এ দিন অভিষেকের অনুরোধ, ‘‘২০১৯ পরিবর্তনের বছর। লড়াইয়ের বছর। আগামী দিনে যাতে দিল্লির বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে পারে, তা সকলকে সুনিশ্চিত করতে হবে।’’ তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে একই আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীও। তাঁর কথায়, ‘‘২০১১ সালে বামফ্রন্টের জগদ্দল পাথরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এ রাজ্য থেকে সরানো হয়েছিল। একই ভাবে এ বছর লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎখাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপাতে হবে।’’ কোনও ভাবেই যাতে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এ রাজ্যে মাথা তুলতে না পারে, সে জন্য কর্মীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন সুব্রতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy