বক্তা: তমলুকে সুব্রত বক্সী। —নিজস্ব চিত্র।
পাশাপাশি জেলায় দু’জনেই এসেছিলেন একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায়। তবে নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং দলের সাংসদ মানস ভুঁইয়া যা বললেন, তাতে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে উত্তাপ ছড়াল।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্যে দলীয় কর্মসূচিতে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আছেন বলেই সব বিরোধী রাজনৈতিক দল বিনা বাধায় বিরাজ করছে। এটা ভারতবর্ষের কোথাও পাওয়া যায় না। একমাত্র বাংলাতেই পাওয়া যায়।’’
বক্সী বিনা বাধায় সভার কথা বললেও, এ দিনই তৃণমূল সাংসদ মানসবাবু মোদীর সভায় যাঁরা যাবেন, তাঁদের উপর নজরদারি চালানোর কথা বলেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে যুব তৃণমূলের সভায় মানসবাবুর মন্তব্য, “নরেন্দ্র মোদীর সভার দিন সবং ও তেমাথানিতে নজরদারি চালাতে হবে। নজর রাখুন দলের ও বাইরের কোন ছুপারুস্তমরা মেদিনীপুরের সভায় যাচ্ছেন। প্রয়োজনে তাঁদের ছবি তুলে রাখুন, চিহ্নিত করুন।”
আগামী ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভা ঘিরে তৃণমূলের দুই নেতার এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সুব্রত বক্সী যেন মনে না করেন ওঁদের দয়ায় কেউ রাজনীতি করছে। আর গণতন্ত্রের কথা ওঁদের মুখে মানায় না।’’ মানসবাবুকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘যিনি নিজেই ভয় পেয়ে দল বদলেছেন, তিনি আবার অন্যকে কি ভয় দেখাচ্ছেন।’’
বিজেপিকে রুখতে দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও এ দিন দিয়েছেন সুব্রত বক্সী। তাঁর কথায়, ‘‘এবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। এটা যেমন রাজনৈতিক দিক থেকে তৃণমূলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে লড়াইয়ের বিষয়টিও অত্যন্ত জরুরি। সব মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজে নামতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy