রত্না চট্টোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিচ্র।
বেহালায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া পাড়ায় তাঁর স্ত্রী রত্নাকে সামনে আনতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী পুর নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্ কালে বেহালায় দলীয় অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘এখন থেকে রত্নাকে দলের কাজে লাগাবেন।’’ বেহালার কাউন্সিলরদেরও নাম ধরে ধরে তিনি বলে দেন, ‘‘রত্নাকে সাহায্য করবেন।’’ অনুষ্ঠানের আগাগোড়াই মঞ্চের নিচে বসে ছিলেন রত্না। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণামও করেন তিনি। রত্নাকে মমতা বলেন, ‘‘দুঃখ পেও না। তোমার শ্বশুরবাড়ি-বাপেরবাড়ি, নিজের পরিবার তোমার সঙ্গে আছে। তৃণমূল পরিবারও তোমার পাশে আছে।’’ বয়োজ্যেষ্ঠের সুরেই রত্নাকে এর পর মমতার পরামর্শ, ‘‘অনৈতিক কাজ করা কখনওই উচিত নয়। আমরা নৈতিক কাজ করি।’’ অনেকের ধারণা, এই মন্তব্যের পিছনে রয়েছে শোভনের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠতা’ এবং তার জেরে শোভনের পরিবারে ভাঙন।
মমতার রত্নাকে দলের কাজে যুক্ত করার এই ঘোষণায় তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তা হলে কি আগামী পুরভোটে শোভনের ছেড়ে যাওয়া কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রত্নাকে প্রার্থী করা হবে? দলের তরফে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও রত্না বলেন, ‘‘দল আমায় লড়তে বললে অবশ্যই লড়ব। শোভনবাবুর অনুপস্থিতিতে তাঁর এলাকা আমি অনেক দিন ধরেই দেখভাল করছি।’’ বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভনের বিধানসভা কেন্দ্র এখন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থবাবু দেখভাল করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy