প্রতীকী চিত্র। ছবি: শাটারস্টক।
মেঘ জমেছে। আজ, মঙ্গলবার কিছুটা মেঘ কাটলেও আবার তা ঘনিয়ে আসতে পারে। তবে বছরের শেষটা জমাটি ঠান্ডা দিয়েই কাটবে বাঙালির। এমনকি নববর্ষের দিনেও শীত মিলবে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, মঙ্গলবার, বছরের শেষ দিনে কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা থাকবে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বুধবার নববর্ষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২-১৩ ডিগ্রির কাছেপিঠে।
শৈত্যপ্রবাহ না-হলেও কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে জমাটি ঠান্ডা রয়েছে। পুরুলিয়া ও বীরভূম ‘শীতল দিন’ অর্থাৎ রাতের তাপমাত্রার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি নীচে। তরাই-ডুয়ার্সেও শীতের দাপট মালুম হচ্ছে। এ দিন জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৮ ডিগ্রি। যা গত এক দশকে সব চেয়ে কম। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি। সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন ১১.৪ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: ১১৯ বছরে শীতলতম দিল্লি, মৃত ৬ দুর্ঘটনায়
শীতকালে দিনে মিঠে রোদের তেজ মালুম হয়। রাতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে। কিন্তু এ দিন বেলা চড়তেই কলকাতার আকাশ মেঘলা হয়েছে। আবহবিদেরা জানান, একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী হাওয়া) বয়ে আসায় এমন হয়েছে। তবে মঙ্গলবার মেঘ কিছুটা কাটবে। বুধবার থেকে আকাশ ফের মেঘলা হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম রয়েছে। তার উপরে মেঘলা হলে দিনেও তাপমাত্রা কমবে। সব মিলিয়ে শীতের অনুভূতি জাঁকিয়ে উপভোগ করা যাবে। যদিও এ বার শীতের যা মেজাজ, তাতে উত্তুরে হাওয়া-বিলাসীরাও ঘাবড়ে গিয়েছেন। এমন শীত ক’দিন থাকবে, চলছে জল্পনা।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে। গণেশবাবু বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy