প্রবল গরমে গলদঘর্ম দশা। তাপমাত্রার পারদ চড়তেই বেড়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বা এসির (এয়ার কন্ডিশনার) বিক্রি। মধ্যবিত্তদের অনেকেই ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্রটি কেনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। তবে এসি কেনার সময়ে পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখতে বলছেন বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের বিশ্লেষকেরা। সেগুলি কী কী, আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
এসি কেনার সময়ে প্রথমেই যেটি ভাবতে হবে, তা হল ঘরের মাপ। তার উপর নির্ভর করবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রটির আকার। ১০০-১২০ বর্গফুটের ঘর হলে এক টনের এসি কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। কিন্তু ঘরের মাপ ১২০ থেকে ১৮০ বর্গফুট হলে দেড় টনের এসি লাগবে। আবার ১৮০ থেকে ২৫০ বর্গফুটের বেশি বড় ঘর হলে তা ঠান্ডা করতে দু’টনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র কিনতে বলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
তবে শুধুমাত্র ঘরের মাপের উপরেই এসির আকার নির্ভর করবে, এমনটা নয়। ওই ঘরে কতটা রোদ আসছে, ঘরটি বাড়ির একেবারে উপরের তলা অর্থাৎ টপ ফ্লোরে কি না এবং একসঙ্গে সেখানে কত জন থাকছেন, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রটি কেনার সময়ে এগুলিও মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, এসির এনার্জি রেটিংয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের বিশ্লেষকেরা।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের গায়ে নির্মাণকারী সংস্থার সাঁটানো লেভেলে থাকে স্টার চিহ্ন। এর সংখ্যা যত বেশি হবে যন্ত্রটি তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে। একে বলে এনার্জি রেটিং। বিশেষজ্ঞেরা সাধারণত পাঁচ স্টারের ইনভার্টার এসি কেনার দিকে গ্রাহকদের নজর দিতে বলে থাকেন। এতে প্রাথমিক ভাবে খরচ বেশি হলেও ভবিষ্যতে বিদ্যুতের বিল থেকে অর্থ বাঁচাতে পারবেন তাঁরা।
তৃতীয়ত, এসি কেনার সময়ে যন্ত্রটি কী দিয়ে তৈরি, তা দেখে নেওয়া ভাল। প্লাস্টিক বডির শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের দিকে না গিয়ে ধাতু নির্মিত এসির খোঁজ করতে পারেন গ্রাহক। তামার টিউব যুক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র কেনা সব সময়ের জন্য ভাল। এটি থাকলে ভবিষ্যতে এসি থেকে গ্যাস লিকেজের ভয় থাকবে না। এ ছাড়াও যন্ত্রের স্মার্ট ফিচারের দিকেও নজর দিতে বলেছেন বিশ্লেষকেরা।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ফিল্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভাল হলে সব সময়ের জন্য ঠান্ডা হাওয়া পাওয়া যাবে। ফলে অটো ক্লিনিংয়ের সুবিধা রয়েছে কি না, তা অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি, যে সংস্থার এসি কেনা হচ্ছে, তার সার্ভিস সেন্টার বাড়ির আশপাশের এলাকায় থাকা জরুরি। যন্ত্রটি কেনার ব্যাপারে এ দিকেও নজর রাখতে বলেছেন বিশ্লেষকেরা।