একার সংসার হোক বা মধ্যবিত্ত পরিবার। আজকের দুনিয়ায় খাবার গরম করার জন্য সব বাড়িতেই ব্যবহার হয় মাইক্রোঅয়েভ। এটির দাম পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। মাইক্রোঅয়েভের আবার একাধিক শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ছোট পরিবারের জন্য কোনটা আদর্শ? কী ধরনের মাইক্রোঅয়েভে তৈরি করা যায় কেক-পেস্ট্রি? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার বিস্তারিত বিবরণ।
বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়া মাইক্রোঅয়েভ ‘সোলো’ নামে পরিচিত। এটি কিনতে খরচ হবে কম-বেশি পাঁচ হাজার টাকা। মূলত ছোট পরিবার এবং অবিবাহিতদের কথা মাথায় রেখে সোলো মাইক্রোঅয়েভ তৈরি করা হয়েছে। এতে রেডি টু ইট খাবার তৈরি, দুধ বা জল এবং ঠান্ডা খাবার গরম করতে পারবেন গ্রাহক। মাইক্রোঅয়েভের দুনিয়ায় একে বেসিক মডেল বলা যেতে পারে।
সোলোর উপরে রয়েছে গ্রিল মাইক্রোঅয়েভ। এর দাম ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেসিক মডেলটির সঙ্গে এতে থাকে অতিরিক্ত একটি গ্রিলিং হিটার। ফলে গ্রিল মাইক্রোঅয়েভ দিয়ে অনায়াসেই পনির টিক্কা, টোস্ট বা যে কোনও ধরনের সেঁকা খাবার নিমেষে বানিয়ে ফেলতে পারবেন ব্যবহারকারী। একেও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য আদর্শ বলে বলা যেতে পারে।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কনভেকশনাল মাইক্রোঅয়েভ। সংশ্লিষ্ট মেশিনটিতে একসঙ্গে তিনটি কাজ করতে পারবেন গ্রাহক। সেগুলি হল মাইক্রোঅয়েভ কুকিং, বেকিং এবং গ্রিলিং। এককথায় কনভেকশনাল মাইক্রোঅয়েভ দিয়ে সাধারণ খাবারের পাশাপাশি কেক, পিৎজ়া এবং পেস্ট্রি তৈরি করতে পারবেন ব্যবহারকারী। এর দাম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা বা আরও কিছুটা বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
কনভেকশন মাইক্রোঅয়েভের ভিতরে একটি ফ্যান এবং হিটার থাকে। ফ্যানটি মেশিনের ভিতরে তৈরি হওয়া তাপকে সমান ভাবে খাবারের উপরে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে সমান আঁচে কোনও খাবারকে অনায়াসেই গ্রিল করতে পারবেন গ্রাহক। যাঁরা বেকিং এবং সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য নিত্যনতুন পরীক্ষা করতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য এই মাইক্রোঅয়েভটিকে আদর্শ বলা যেতে পারে।
এ ছাড়া রয়েছে ওভেন-টোস্টার গ্রিলার বা ওটিজি মেশিন। মাইক্রোঅয়েভের মতো দেখতে হলেও এটি আদতে তা নয়। ওটিজি দিয়ে বেকিং, টোস্টিং এবং গ্রিলিং করা যায়। তবে এর মাধ্যমে ঠান্ডা খাবারকে গরম করা যায় না। ওটিজি কিনতে গ্রাহককে খরচ করতে হবে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এটি হাতের কাছে থাকলে বেকিং-প্রেমীদের যে অনেকটাই সুবিধা হবে, তা বলাই বাহুল্য।