বাজারে এসেছে নতুন ‘গেমিং’ ফোন। নির্মাণকারী সংস্থাগুলির দাবি, ওই মুঠোবন্দি ডিভাইস হাতে থাকা মানে ব্রোঞ্জ যুগ পেরিয়ে লৌহ-ইস্পাতের দুনিয়ার প্রবেশ। আমজনতার অনেকেরই ধারণা, সংশ্লিষ্ট ফোনটি কিনলে অতি সহজে জেতা যাবে অনলাইন গেম। সত্যিই কি তাই? না কি পুরোটাই ভাঁওতা? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
আপাতদৃষ্টিতে আর পাঁচটা সাধারণ স্মার্টফোনের সঙ্গে ‘গেমিং’ ফোনের কোনও তফাত নেই। যদিও এর পিছনের অংশটি কিছুটা আলাদা। সেখানে আলো জ্বলার ব্যবস্থা রয়েছে। গ্যাজেট বিশ্লেষক অভ্র রায়ের দাবি, ‘গেমিং’ ফোনে থাকে না কোনও আলাদা প্রসেসর। অন্যান্য স্মার্টফোনে ঠিক যে ধরনের চিপ ব্যবহার করা হয়, হুবহু একই প্রসেসার বসানো আছে ওই মুঠোবন্দি ডিভাইসেও।
গ্যাজ়েট বিশেষজ্ঞ অভ্র রায় এই ধরনের ফোনকে ‘আলো ঝলমলে প্রতারণা’ বলেছেন। এর পিঠের দিকে আলো জ্বলার ব্যবস্থা থাকায় অন্ধকার ঘরেও সংশ্লিষ্ট ফোনটিতে গেম খেলতে পারবেন গ্রাহক। এই সুযোগ থাকার কারণেই ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ মনে করেন, গেম জেতার সুযোগ অনেকটাই বেশি পাবেন তাঁরা। যদিও ফোনের পিঠের আলোর সঙ্গে অনলাইন গেম খেলার কোনও সম্পর্ক নেই।
‘গেমিং’ ফোনের দ্বিতীয় অসুবিধা হল, পিঠের দিকের আলোর কারণে দ্রুত শেষ হয়ে যায় এর ব্যাটারি। ফলে ফোনটিকে বার বার চার্জ দিতে হয়। এতে বিদ্যুতের বিল যে বেশি আসবে, তা বলাই বাহুল্য। অন্যান্য স্মার্টফোনের মতো এতে নেই কোনও ডিএসএলআর ক্যামেরা। তবে গ্রাহক সিসিটিভির মানের ছবি দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি, ‘গেমিং’ ফোনের কুলিং ব্যবস্থা খুব একটা ভাল নয়। ফলে মুঠোবন্দি ডিভাইস গরম হয়ে গেলে দ্রুত তা ঠান্ডা হতে চায় না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘গেমিং’ ফোনের নামে আসলে নির্মাণকারী সংস্থাগুলি বিক্রি করছে চার্জিং ফোন, যার জীবনীশক্তিও দ্রুত শেষ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।