স্মার্টফোন যত পুরনো হতে থাকে ততই তাতে ধরা পড়ে একের পর এক সমস্যা। উদাহরণ হিসাবে ক্যামেরার কথা বলা যেতে পারে। কেনার পর যতটা ঝকঝকে ছবি উপহার পাওয়া যায়, পুরনো হলে সেই গুণগত মান ধরে রাখতে পারে না ওই মুঠোবন্দি ডিভাইস। একই কথা ব্যাটারির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত পুড়তে থাকে। কেন এমনটা হয়? এর থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও উপায় আছে কি? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে সেটা তুলে ধরা হল।
স্মার্টফোনের ক্যামেরা, ব্যাটারি বা সফট্অয়্যার ঠিকমতো কাজ না করা নিয়ে ব্যবহারকারীদের একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে। এর জন্য তাঁরা প্রসেসার এবং র্যামকেই (র্যান্ডাম এক্সিস মেমরি) মূলত দায়ী করে থাকেন। কিন্তু, বাস্তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়। গ্যাজেট বিশ্লেষকদের কথায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মান ধরে রাখতে পারে না যে কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী। এর মূল কারণ হল, তাপের তারতম্য। কখনও খুব ঠান্ডা, কখনও আবার খুব গরম পরিবেশে অহরহ থাকতে হয় আমজনতার হাতের স্মার্টফোনকে।
মুঠোবন্দি ডিভাইসের মধ্যে ব্যাটারি ছা়ড়াও থাকে সিলিকন এবং প্লাস্টিকের একাধিক অতি সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ। গ্লু বা বিশেষ ধরনের আঠা দিয়ে সেগুলি ফোনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় আটকে দেয় নির্মাণকারী সংস্থা। তাপের তারতম্যের কারণে সেই গ্লু গলে যেতে শুরু করে। স্মার্টফোনের ক্যামেরার লেন্স কিন্তু কাচের নয়, সিলিকন বা প্লাস্টিকের তৈরি। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, প্রচণ্ড ঠান্ডা বা মাত্রাতিরিক্ত গরম সেটাকে খারাপ করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
ফোনের ব্যাটারি একটি সুনির্দিষ্ট সাইকেল মেনে চার্জ করা উচিত। ব্যবহারকারীদের প্রায় কেউই সেটা মানেন না। ইচ্ছামতো ফাস্ট চার্জার দিয়ে ব্যাটারিতে বিদ্যুৎসংযোগ করতে থাকেন তাঁরা। এতেও সংশ্লিষ্ট ডিভাইসটির খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সফ্টঅয়্যারের ক্ষেত্রে আবার অপারেটিং সিস্টেম নিজেই জাঙ্ক ফাইল জমা করতে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটি সুনির্দিষ্ট সময় পর গ্রাহকদের ফোন রিসেট করার পরামর্শ দিচ্ছেন গ্যাজেট বিশ্লেষকদের একাংশ।