ছোট্ট একটা ডিভাইস। তাকে আইফোনের গায়ে সেঁটে দিলেই কেল্লাফতে! দ্রুত চার্জ হয়ে যাবে ফোন। একই রকম সুবিধা রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেও। কিন্তু সেই ওয়্যারলেস চার্জার মোটেই ফোনের গায়ে চুম্বকের মতো সেঁটে যায় না। দু’টি চার্জারের মধ্যে কোথায় কোথায় রয়েছে পার্থক্য, আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
আইফোনের ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের জন্য ব্যবহার হয় ম্যাক্সের চার্জার। অন্য দিকে, যে ওয়্যারলেস চার্জারের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চার্জিং হয়, তার পোশাকি নাম কিউআই। ম্যাক্সের চার্জার আইফোন নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাপ্লের নিজস্ব সম্পত্তি। কিন্তু, কিউআই কোনও সুনির্দিষ্ট সংস্থার পণ্য নয়। অর্থাৎ, একাধিক স্মার্টফোন নির্মাণকারী কোম্পানির কিউআই চার্জার রয়েছে।
এই দু’ধরনের চার্জারের মধ্যে মূলগত পার্থক্য একটাই। ওয়্যারলেস চার্জারের উপরে যেমন-তেমন করে অ্যান্ড্রয়েড ফোন বসিয়ে দিলেই যে চার্জ হবে, এমনটা নয়। চার্জ না হলে ফোনটিকে ঘুরিয়ে এ দিক-ও দিক করে রাখতে হয় গ্রাহককে। অন্য দিকে আইফোনে এই ঝামেলা নেই। কারণ অ্যাপ্ল তাদের পণ্যের ঠিক পিছনে রেখেছে একটি গোলাকার চুম্বক। ম্যাক্সের চার্জার সেখানে নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা জুড়ে যায়। এর পর আইফোনে শুরু হয়ে যায় চার্জিং।
ম্যাক্স ও কিউআই চার্জারের মধ্যে আর একটি পার্থক্য রয়েছে। অ্যাপ্লের পণ্যটির মাধ্যমে ১৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডের বেলায় সেটা মাত্র ৭.৫ ওয়াট। গ্যাজেট বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কিউআইকে আরও উন্নত করে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে আইফোন নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্ট। যদিও কিউআইয়ের নতুন সংস্করণ বাজারে এসেছে। সেখানে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের গতি আরও বেড়েছে। কিন্তু, তার পরেও এতে চুম্বকের বিষয়টি নেই।