আমজনতার অন্যতম পছন্দের কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) ভিত্তিক টুল হল চ্যাটজিপিটি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাকে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলছে পারপ্লেক্সিটি বা বিভ্রান্তি। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটির তুলনায় অনেক বেশি ছটফটে। দ্রুত যে কোনও তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে সিদ্ধহস্ত। ফলে অনেকেরই প্রশ্ন, কোনটা ব্যবহার করা বেশি ভাল? দু’টি এআই-ভিত্তিক টুলের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। ব্যবহারকারীকে সেটা মাথায় রেখে পছন্দের কৃত্রিম মেধা বেছে নিতে হবে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। চ্যাটজিপিটিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প শোনাতে বললে ধীরে ধীরে সেটা শুনিয়ে দেবে এই এআই টুল। গল্পটাকে সিনেমার মতো করে গ্রাহকের কাছে তুলে ধরার ক্ষমতা রয়েছে সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম মেধার। শুধু গল্পই নয়, কবিতা, উপন্যাস বা মজার কোনও ঘটনার কথা উল্লেখ করে ব্যবহারকারীকে আনন্দ দিতে পারে চ্যাটজিপিটি।
কিন্তু, একই ভাবে মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা ওপেনএআইয়ের এই টুলের কাছে গতকালের ক্রিকেট খেলার ফলাফল জানতে চাইলে, সেই তথ্য দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম মেধা। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হচ্ছে বলে বিষয়টিকে এড়িতে যেতে পারে চ্যাটজিপিটি।
আরও পড়ুন:
উল্টো দিকে যে কোনও তথ্য জিজ্ঞাসা করলে গুগ্ল, ইউটিউব বা এক্স হ্যান্ডেল (আগে নাম ছিল টুইটার) ঘেঁটে দ্রুত তার সন্ধান দিতে সক্ষম পারপ্লেক্সিটি বা বিভ্রান্তি। তবে এই এআই টুলটি আবার সাহিত্যের ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞ। ফলে পারপ্লেক্সিটির কাছে গ্রাহক বিশ্বের সেরা প্রেমের কবিতার নাম জানতে পারবেন। কিন্তু সেই কবিতা শুনতে হলে তাঁকে যেতে হবে চ্যাটজিপিটির কাছে।