ধীরে ধীরে গরিমা হারাচ্ছে আইফোন? ফিকে হচ্ছে তার নীল রক্ত? মুঠোফোন ডিভাইসটির নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা অ্যাপ্ল একের পর এক প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় উঠে গিয়েছে সেই প্রশ্ন। ফলে আইফোনকে নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। নেটাগরিকদের পাশাপাশি এ বার তাতে যোগ দিয়েছে স্যামসাং এবং গুগ্লও। প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছুড়ে দেওয়া ‘অপমান’ আপাতত হজম করতে হচ্ছে অ্যাপ্লকে।
প্রায় চার বছর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে আইফোনের ফিচার বদলের কথা ঘোষণা করে মুঠোফোনটির নির্মাণকারী সংস্থা। অ্যাপ্ল জানিয়ে দেয় কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার হবে তাদের ফোনে। পাশাপাশি, ফোল্ডিং মডেলও বাজারে আনার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট মার্কিন টেক জায়ান্টের। কিন্তু, লম্বা সময় কেটে যাওয়ার পরেও সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি অ্যাপ্ল।
অন্য দিকে, চলতি বছরের জুলাইতেই ফোল্ডিং স্মার্টফোনের নতুন দু’টি মডেল বাজারে আনে স্যামসাং। সেগুলি হল, জ়েড ফ্লিপ ৭ এবং জ়েড ফোল্ড ৭। প্রথম ফোনটির প্রাথমিক সংস্করণও গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার (রিপাবলিক অফ কোরিয়া) বহুজাতিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির।
এ ছাড়া নতুন ফোল্ডিং ফোন বাজারে এনেছে ভিভো, নাম এক্স ফোল্ড ফাইভ। চিনা সংস্থাটির দাবি, সংশ্লিষ্ট মুঠোফোনটি ভাঁজ করলে সেটা আইফোনের থেকেও পাতলা হয়ে যাবে। এতে থাকছে তিনটে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পাশাপাশি, ৫০ মেগাপিক্সেলের পেরিস্কোপিক জ়ুম লেন্স পাবেন গ্রাহক।
ফোল্ডিং স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এর ব্যাটারি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ভিভো জানিয়েছে, ভাঁজ করা মুঠোফোন তৈরির সময় এ দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তারা। এক্স ফোল্ড ফাইভে ৬,০০০ এমএইচ ব্যাটারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে এটি স্যামস্যাংকে টেক্কা দিতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।