আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপগুলির সঙ্গে টক্কর দিতে দেশি অ্যাপের সংস্করণ রয়েছে এ দেশে। হোয়াট্সঅ্যাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে ‘হাইক’, এক্স (সাবেক টুইটার)-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে ‘কু’-এর মতো অ্যাপ চালু হয়েছিল ভারতে। ভারতে বিদেশি অ্যাপগুলির বিকল্প হিসাবে এগুলিকে তুলে ধরা হয়েছিল। প্রতিযোগিতার বাজারে অ্যাপগুলি জনপ্রিয়তা অর্জন করা তো দূরে থাক, বলতে গেলে মুখ থুবড়েই পড়েছিল। চিঙ্গারি, শেয়ার চ্যাট, কুইকার, সাম্প্রতিক কালে জ়োহ।
তবে জ়োহ যে পুরোপুরি ‘ফ্লপ’ তা বলার সময় এখনও আসেনি। জ়োহের বেশ কিছু অ্যাপ আমজনতার কথা মাথায় রেখে বাজারে আনা হয়েছিল। সেগুলির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গিয়েছে দেশের মধ্যেই। এদের মধ্যে জ়োহ ক্লিক, নোটবুকের মতো অ্যাপগুলি সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। জ়োহ নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনার সিকি ভাগও প্রতিফলিত হয়নি বাজারে।
আরও পড়ুন:
ভারতীয় অ্যাপগুলি কেন প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না, তার বড় কারণ হল পণ্যগুলির গুণগত মান। ভারতীয় আবেগকে মাথায় রেখে পণ্যগুলির প্রচার করা হলেও এর ফিচারগুলি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি গ্রাহকেরা। আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে গেলে পণ্যগুলির মান যাচাই করা সবার আগে প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের যুক্তি, বিশ্বের দরবারে জাতীয়তাবাদী আবেগ নয়, গুণগত মানই বিচার্য।