রামায়ণ সার্কিট সফর শুরু ২১ জুন। প্রতীকী চিত্র
ট্রেন সফর করার সময় কোনও যাত্রী চাইলে যোগাভ্যাস করতে পারবেন। আগামী ২১ জুন যে রামায়ণ সার্কিট সফর শুরু হচ্ছে তাতেই এই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ১৮ দিনের এই সফরে শুধু ভারত নয়, নেপালেও যাবে ট্রেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ভারত গৌরব প্রকল্পের অন্তর্গত এই সফরে যোগাভ্যাসের যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা অতীতে কখনও হয়নি। শুধু যোগাভ্যাসের ব্যবস্থা থাকাই নয়, এই ট্রেনটি অনেক দিক থেকেই বেনজির।
২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। সেই দিনেই শুরু হচ্ছে এই সফর। আইআরটিসির উদ্যোগে ইতিমধ্যেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০ বগির ট্রেনটি থিম নির্ভর হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি বগিই আলাদা আলাদা থিমের উপরে সাজানো হবে। ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন ছবির মাধ্যমে প্রতিটি বগিতে তুলে ধরা হবে। দু’টি বগিতে থাকবে যোগাভ্যাসের সুবিধা। যে সব যাত্রী যোগে অংশ নিতে চান তাঁদের বিভিন্ন যোগাসন দেখিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষকের ব্যবস্থাও থাকবে।
গোটা ট্রেনটাই বাতানুকূল থ্রি টিয়ার। সঙ্গে থাকছে প্যান্ট্রি কার। তবে সেই প্যান্ট্রিতে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবারই রান্না হবে। সেটাই দেওয়া হবে যাত্রীদের। প্রথম বার এই সফরে যুক্ত হয়েছে নেপালের জনকপুর। অতীতেও রামায়ণ বর্ণিত তীর্থস্থান ভ্রমণ করাতে উদ্যোগী হয়েছে রেল। কিন্তু এই প্রথম বার সেই যাত্রা হতে চলেছে দেশের সীমান্ত পার করে। পর্যটন মন্ত্রকের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের অধীনে এই সফরে রাম, সীতা, লক্ষ্মণের নামের সঙ্গে যুক্ত স্থানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়। নেপালের জনকপুরে রয়েছে বিখ্যাত রামজানকী মন্দির। এ বার সেই মন্দিরকেও যুক্ত করা হয়েছে রেলের রামায়ণ সার্কিটে। ১৮ দিনের এই সফরে ন্যূনতম খরচ ৬২ হাজার ৩৭০ টাকা। সেই খরচ মেটানো যাবে ইএমআইয়ের মাধ্যমে। তবে সে জন্য টাকা দিতে হবে পেটিএম বা র্যাজরপে গেটওয়ের মাধ্যমে। ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে দিল্লির সফদরজঙ্গ স্টেশন থেকে। এর পরে প্রথমেই যাবে অযোধ্যা। তার পরে বিহারের বক্সার হয়ে জনকপুর। এর পরে বারণসী, নাসিক, হাম্পি হয়ে দক্ষিণের রামেশ্বরমেও যাবে রামায়ণ সার্কিট ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy