লিফ্টে চার চোখের মিলন। খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে তরুণীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন খাবার সরবরাহ কর্মী। অ্যাপার্টমেন্টে নুডল্স ডেলিভারির সূত্রে তাঁদের প্রথম দেখা। সেই প্রথম দেখাতেই প্রেমের অনুভূতি জেগেছিল দু’জনের। কিন্তু একে অপরের ভাষা বুঝতে পারতেন না তাঁরা। তাই অনুবাদ অ্যাপই ছিল ভরসা। সেই অ্যাপের সাহায্যে প্রেমপর্ব চলে দু’জনের। পাঁচ মাস পরে বিয়ে করেন তরুণ-তরুণী।
আরও পড়ুন:
নিজেদের বিয়ের গল্প সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন হানা নামের এক মার্কিন তরুণী। তিনি পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। চিনের বাসিন্দা লিউ নামের তরুণের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তাঁরই অ্যাপার্টমেন্টের লিফ্টে। সে দিন সেখানে নুডল্স দিতে এসেছিলেন লিউ। হানাকে দেখে ভাল লেগে যায় তাঁর। লিফ্টে তাঁদের চোখাচোখি হলে লিউ খানিকটা কুণ্ঠিত স্বরে ভাঙা ইংরেজিতে হানাকে ভালবাসার কথা জানিয়ে দেন। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিউয়ের বয়স ২৭ ও হানার ৩০। হানা এক জন আমেরিকান, অ্যালবামা থেকে চিনের শেনিয়াং শহরে শিশুদের ইংরেজি পড়াতে এসেছেন। লিউ লিয়াওনিং প্রদেশের বাসিন্দা লিউ খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী।
আরও পড়ুন:
লিউ মনের কথা হানাকে জানানোর পর একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। লিউকে ইংরেজি শেখার পরামর্শ দেন হানা। আর লিউ হানাকে চিনা ভাষা শেখাতে শুরু করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে লিউ একটি ভূগর্ভস্থ স্টেশনে আংটি দিয়ে হানাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এর দু’মাস পরে লিউয়ের গ্রামে দু’জনের বিয়ে হয়। পাত্রীর বাবা-মা আমেরিকা থেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন এবং দম্পতিকে আশীর্বাদ করেছিলেন। হানা সমাজমাধ্যমে জানান, লিউয়ের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল না। তাতে অবশ্য দু’জনের ভালবাসা কম পড়েনি। তাঁরা কথা বলার জন্য অনুবাদ অ্যাপ ব্যবহার করেন। দিনের শেষে একসঙ্গে বসে একে অপরের ভাষা শেখেন। লিউ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে নিজের দেশ ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। আর হানার স্বপ্ন তিনি একদিন লেখক হবেন।