অ্যাপের সাহায্যে খাবার অর্ডার করেছিলেন তরুণী। অর্ডারটি নিশ্চিত হওয়ার কিছু ক্ষণ পর তাঁর কাছে যিনি খাবার পৌঁছে দিতে আসেন তিনি ফোন করে তরুণীকে একটি অনুরোধ করেছিলেন। নীচে নেমে খাবারের প্যাকেট নিতে এসে তরুণী দেখেন যিনি খাবার পৌঁছে দিতে এসেছেন তিনি হুইলচেয়ার বন্দি। শারীরিক ভাবে অক্ষম এক ডেলিভারি কর্মীর কাছ থেকে অর্ডার পাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন মুম্বইবাসী ওই তরুণী। তিনি পোস্টে জানিয়েছেন, একেবারে সঠিক সময়ে তিনি খাবারটি হাতে পেয়েছিলেন।
মারিয়া কিউ নামের ওই তরুণী তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আমি একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে একটি অর্ডার দিয়েছিলাম। এক মিনিটের মধ্যেই আমি একটি স্বয়ংক্রিয় ফোন পাই। আমাকে ফোনে বলা হয়েছিল যিনি খাবার দিতে আসছেন তিনি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। আমাকে এ-ও বলা হয়, যদি আমি এই ব্যবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করি তবে বিকল্প ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারি।’’ তরুণী হ্যাঁ-সূচক সম্মতি দিয়ে ফোনটি কেটে দেন। কয়েক মিনিট পর মারিয়ার কাছে সরবরাহকর্মীর ফোন আসে। সেই কর্মী উল্লেখ করেন যে তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। মারিয়াকে নীচে নেমে এসে খাবারের প্যাকেটটি নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। মারিয়া সানন্দে সেই অনুরোধ রাখেন। পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অর্ডারটি সময়মতো পৌঁছেছে। কর্মীর তরফ থেকে যোগাযোগ স্পষ্ট ছিল। সব মিলিয়ে তাঁর কোনও সমস্যাই হয়নি।
মারিয়ার পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। বহু মানুষই সরবরাহকারী সংস্থার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী একই রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা জেনে খুব খুশি হলাম! আমারও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি কিছু মুদিখানা এবং উপহারের জিনিসপত্র অর্ডার করেছিলাম। সেখান থেকে একটি বার্তা পেয়েছিলাম যে যিনি পণ্যগুলি দিতে আসবেন তিনি একজন বয়স্ক নাগরিক। ’’