পড়ুয়ার যৌনাঙ্গে কাচ মোছার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের কাছে নালাসোপাড়া এলাকায়। অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীন ওই ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক দাবি করেন যে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়ার যৌনাঙ্গ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর পরেই নাকি খুদের যৌনাঙ্গে রাসায়নিক ছিটিয়ে দেন তিনি। সেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে মহারাষ্ট্র জুড়ে। প্রতিবাদে নেমেছেন অভিভাবকেরা। স্থানীয়েরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্কুল পরিচালনার পদ্ধতিতে গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্কুলটি সাময়িক ভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম মুম্বই মিরর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৯ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে। আট বছর বয়সি পড়ুয়াটির বাবা-মা অভিযোগ দায়ের করে শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর ২৩ জুলাই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই পড়ুয়ার মায়ের অভিযোগ, ঘটনার দিন ক্লাসরুমে মাত্র তিন জন পড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষক হঠাৎ দাবি করেন, শ্রেণিকক্ষে দুর্গন্ধ ছাড়ছে এবং তা আসছে ভুক্তভোগী পড়ুয়ার কাছ থেকে। এর পরেই ওই পড়ুয়ার যৌনাঙ্গে কাচ পরিষ্কার করার রাসানয়িক ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, খুদে পড়ুয়া কাঁদতে শুরু করলে তা নিয়েও রসিকতাও করেন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:
ঘটনাটির পর পড়ুয়ার অভিভাবকেরা অতি সত্বর স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টিকে বিশেষ আমল দেওয়া হয়নি। এর পরে অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্রের রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করে স্কুলটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।
পালঘর জেলা মাধ্যমিক বিভাগের উপ-শিক্ষা কর্মকর্তা মাধব মাতে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘স্কুলটি বন্ধ করার জন্য একটি নোটিস জারি করা হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্ত চলছে।’’ অন্য দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রের মায়ের কথায়, ‘‘আমি খুশি যে শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। আমি আমার সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার কামনা করি এবং অন্য কোনও অভিভাবকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটুক তা চাই না।’’