বাঘের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে নিজস্বী তোলার জন্য পোজ় দিতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। হঠাৎ করেই খেপে উঠল শিকলে বাঁধা শার্দুল। লাফিয়ে ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেই ছবি তোলার শখ মিটে গেল তরুণের। বাঘের কামড় খেয়ে হাত থেকে পড়ে গেল ক্যামেরা । ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডের একটি চিড়িয়াখানায়। সেখানে বাঘের সঙ্গে হাঁটা, খাবার খাওয়ানো এবং বন্যপ্রাণীটির সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ রয়েছে। ভয়াবহ সেই ভিডিয়োটি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাঘটির সঙ্গে হাঁটছিলেন দু’জন। এক জনের হাতে লাঠি, তিনি বাঘটির প্রশিক্ষক। অন্য জন পর্যটক, তিনি বাঘের গলার শিকলটি ধরে হাঁটছিলেন। হাঁটার সময় বাঘের পিঠের নীচের দিকে হাত বোলাচ্ছিলেন তরুণ। প্রশিক্ষক তাঁকে ছবি তোলার কথা বলতেই তিনি বাঘের পিছনের দিকে হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে পড়েন। তাতেই বাঘটি আক্রমণ করে বসে। আকস্মিক ঘটনায় হাত থেকে ক্যামেরা ছিটকে পড়ে যায়। ক্যামেরাটি প্রচণ্ড কেঁপে ওঠে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দেয় সেখানে। হিংস্র প্রাণীটি ঝাঁপিয়ে পড়ার পর কী ঘটল তা ভিডিয়োয় দেখা যায়নি।
ভিডিয়োটি ২৯ মে এক্স হ্যান্ডলে ‘সিধসুক’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ঘটনায় আহত ব্যক্তি এক জন ভারতীয়। তাঁর অবস্থা কেমন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও। ভিডিয়োটি এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। সমাজমাধ্যম ব্যবহাকারীদের অনেকেই আহত ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বাঘজাতীয় প্রাণীরা সাধারণত শরীরের নীচের অংশ (পিঠের) বিশেষ করে পিছনের অংশে হাত দেওয়া পছন্দ করে না। তাই আক্রমণ করে বসেছে।’’