ঝকঝকে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে তুষারাবৃত হিমালয়। সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেন বিহারবাসী। বিহারের মধুবনী জেলার বাসিন্দারা সাক্ষী রইলেন বিরল দৃশ্যের। পড়শি রাজ্যের জয়নগর গ্রামের মানুষ ঘুম জড়ানো চোখ খুলে দেখতে পেলেন হিমালয়ের চূড়া। সমাজমাধ্যমে সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দূরে সাদা বরফঢাকা পর্বত। বাড়ির ছাদে উঠলেই গ্রামের মানুষ হিমালয়ের দর্শন পাচ্ছেন। সেই দৃশ্য দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান গ্রামবাসীরা। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন এটি হিমালয়ের চূড়া। গ্রামের অনেকেই দাবি করছেন এটি মাউন্ট এভারেস্ট। বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার হয়ে দূষণ কমে যাওয়ার পর বাসিন্দারা পর্বতের ঝলক দেখতে পান। ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত প্রাণবন্ত শহর জয়নগর। নেপালের একটি হিমবাহ থেকে উৎপন্ন কমলা নদীর তীরে রয়েছে শহরটি। শহরটি যেখানে রয়েছে সেখান থেকে সোজাসুজি সরলরেখায় অবস্থান করছে মাউন্ট এভারেস্ট। যখন আবহাওয়া দূষণমুক্ত ও আকাশ পরিষ্কার থাকে বা কুয়াশা কেটে যায় তখন দৃশ্যমান হয় এভারেস্ট এবং এর সংলগ্ন লোৎসে, মাকালু, শার্তসে ওয়ান, চামলাং, থামসেরকু এবং মেরা শৃঙ্গগুলি।
২০২০ সালের অতিমারিতে লকডাউনের সময়ে শেষ বার এই দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন বিহারের সীতামঢ়ী জেলার সিংহবাহিনী গ্রামের বাসিন্দারা। হিমালয় কয়েকশো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীতামঢ়ী। এই গ্রাম থেকে দর্শন মিলেছিল এভারেস্টের। সেই ছবিও সমাজমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা প্রচুর মানুষ দেখেছিলেন। নতুন ভিডিয়োটি এক্স হ্যান্ডলে ‘সত্যমরাজ_ইন’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২২ লক্ষ বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। ১৩ হাজারের বেশি নেটাগরিক ভিডিয়োটি লাইক করেছেন। ভিডিয়োটি প্রচুর বার রি-পোস্টও করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমের একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে এই বিরল ভিডিয়োটি। প্রচুর মন্তব্য জমা পড়েছে ভি়ডিয়োয়। এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। বহু বছর পর আবার বিহার-নেপাল সীমান্ত থেকে হিমালয় দৃশ্যমান।’’