বিচ্ছেদের পর সঙ্গিনীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দিয়েছিলেন সঙ্গী। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণী। ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তরুণী প্রাক্তন প্রেমিকের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানিয়ে আদালতে হাজির হন। কানাডার সিভিল রেজোলিউশন ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে তরুণীর ছবি ও ভিডিয়োগুলি কোনও গোপনীয় স্থানে তোলা হয়নি। প্রাক্তন সঙ্গীর এই আচরণকে আদালত ‘জনস্বার্থের বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছে।
অদ্ভুত এই মামলাটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার। সেখানকার বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন যে কর্মক্ষেত্রে তাঁর ম্যানেজারের কাছে ছবি ফাঁস করেছেন প্রাক্তন সঙ্গী। সবটাই তাঁর চরিত্র ও সুনামের ক্ষতি করার জন্য। অভিযোগকারী তরুণী আদালতে জানান, তাঁর শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গের ছবি ও স্বমেহনের দৃশ্য তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। ২৪ জুন মামলার রায়ে আদালত জানিয়েছে যে সমস্ত ছবি ও ভিডিয়ো অভিযোগকারী তরুণীর কর্মক্ষেত্রে ও কাজের সময়ে তোলা। কোনও গোপন জায়গায় সেগুলি ক্যামেরাবন্দি করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
ট্রাইব্যুনালের সদস্য মেগান স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন যে, এই ছবিগুলি ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে মনে করছে না আদালত। অভিযোগকারিণী তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের সময় তাঁর ছবি এবং ভিডিয়ো নিজেই পাঠিয়েছিলেন এবং আবেদনকারী তখন কর্মক্ষেত্রে ছিলেন এবং সেগুলি তাঁর কাজের সময়ের মধ্যে তোলা হয়েছিল। মামলার অভিযুক্ত তরুণ জানিয়েছেন তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রেমিকার কাজের জায়গায় অসদাচরণ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতেই তিনি এই ধরনের কাজ করছেন। আদালত মনে করেছে যে অন্তত কিছু ছবি অফিসের এমন কিছু অংশ থেকে তোলা হয়েছে যেখানে জনসাধারণ বা অন্যান্য কর্মচারী প্রবেশ করতে পারেন। তাই সেটি কোনও গোপন স্থান নয়। দ্বিতীয়ত, অভিযোগকারী নিজেই সেগুলির রেকর্ড করে প্রাক্তন সঙ্গীকে পাঠিয়েছিলেন। স্টুয়ার্ট রায় দেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আইন মতে ছবিগুলি যে ‘ঘনিষ্ঠ’ এমন কোনও সংজ্ঞা পূরণ করে না, তাই মামলাটি খারিজ করে দেন তিনি।