জনা কয়েক যাত্রীকে নিয়ে উড়ান শুরু করেছিল ছোট একটি ট্রপিক এয়ার বিমান। মাঝ-আকাশে সেই বিমান হাইজ্যাক করার চেষ্টা করলেন এক প্রৌঢ় যাত্রী। ছুরি হাতে নিয়ে বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর ছুরির আঘাতে তিন যাত্রী আহতও হন। তবে পরে অন্য এক যাত্রীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। বৃহস্পতিবার মধ্য আমেরিকার বেলিজে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির হাইজ্যাকের চেষ্টার সময় বিমানের ভিতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ট্রপিক এয়ারের ‘ভি৩এইচআইজি’ বিমান করোজাল থেকে বেলিজ সিটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বিমানটি নিয়মিত ওই পথে যাতায়াত করে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু বিমানটি উড়ান শুরু করার কিছু ক্ষণ পরেই ৪৯ বছর বয়সি এক প্রৌঢ় একটি ছুরি নিয়ে সহযাত্রীদের আক্রমণ করা শুরু করেন। বিমানচালককেও হুমকি দিতে থাকেন। তখনই বিমানে থাকা অন্য এক যাত্রী হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। মৃত্যু হয় তাঁর। ‘আরটি.কম’ নামে এক সংবাদমাধ্যমে আবার প্রকাশিত হয়েছে যে, বিমানে আরও জ্বালানি ভরার জন্য এবং তাঁকে দেশ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছিলেন হামলাকারী।
আরও পড়ুন:
বেলিজের পুলিশ কমিশনার চেস্টার উইলিয়ামস জানিয়েছেন, হামলাকারীকে আকিনিয়েলা সাওয়া টেলর হিসাবে শনাক্ত করা গিয়েছে। তিনি আমেরিকার বাসিন্দা ছিলেন। টেলরের উপর গুলি চালানো যাত্রীর প্রশংসা করে তাঁকে ‘নায়ক’ তকমাও দিয়েছেন বেলিজের পুলিশ কমিশনার। তবে যাত্রিবাহী বিমানে কেউ কী ভাবে ছুরি, বন্দুক নিয়ে উঠলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের ছোট বিমানগুলির যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। তদন্তে সহায়তার জন্য আমেরিকার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও খবর।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে বেলিজ থেকে সাময়িক ভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। হামলাকারীর মৃত্যুর পর ট্রপিক এয়ারের বিমানটিকেও নিরাপদে বেলিজে অবতরণ করানো হয় বলে খবর।