কর্মক্ষেত্রে বিশাল পদোন্নতি হোক, চেয়েছিলেন নিতিন (নাম পরিবর্তিত)। বহু প্রতীক্ষিত সেই স্বপ্নপূরণও হল তাঁর। কিন্তু সেই উন্নতি এল ব্যক্তিগত সুখের বিনিময়ে। কর্মক্ষেত্রে প্রতি দিন ১৪ ঘণ্টা কাজ করে ৭ .৮ কোটি টাকার পদোন্নতি ঘটেছিল নিতিনের। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর কাছে এল বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তাবও। সংস্থায় সিনিয়র ম্যানেজারের পদে উন্নত হওয়ার পর অপ্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর জীবনে নেমে আসে ব্যক্তিগত বিপর্যয়।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি ও ইকমার্স সংস্থার এক জন কর্মচারী নিতিন। একটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে তিনি তাঁর পরিবারকে উপেক্ষা করে সংস্থায় পদোন্নতির জন্য কাজ করেছিলেন। তাঁর এই কঠোর পরিশ্রম নজরে এসেছিল সংস্থার। তিনি তাঁর পেশাগত লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। ৭.৮ কোটির চিত্তাকর্ষক বেতনে সিনিয়র ম্যানেজার হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন নিতিন।
পদোন্নতির সেই আনন্দ স্থায়ী হয়নি তাঁর। কারণ তাঁর স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। কাজের ব্যস্ততার কারণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক মুহূর্তে তিনি যোগদান করতে পারেননি। তিন বছর ধরে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন পদোন্নতির জন্য। সে কারণে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তিনি সংস্থার কাজেই নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
অফিসের মিটিংয়ের কারণে মেয়ের জন্মের সময়ও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। প্রসবের পর তিনি স্ত্রীকেও বিশেষ দিতেন না বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সে কারণে তাঁর স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন। এই পোস্ট ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। তাঁকে বোকা, অহঙ্কারী বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে।