গভীর সমুদ্র থেকে উঠে এসে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ডুম্সডে ফিশ। তা-ও আবার ভারতে। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর উপকূলে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে এই বিরল প্রজাতির মাছটি। লম্বায় ৩০ ফুট! দেহ তো নয়, যেন বড়সড় ইস্পাতের চাবুক। দেহ থেকে রুপোলি আলো ঠিকরে পড়ছে। অদ্ভুতদর্শন এই মাছের শরীর রক্ত-মাংসে গড়া নয়, বরং যেন চকচকে কোনও ধাতু দিয়ে তৈরি। অস্বাভাবিক বড় বড় চোখ ভয়ের উদ্রেক করে। ইনস্টাগ্রামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর তা নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যমের। ভাইরাল হয়েছে অরফিশ বা ডুম্সডে ফিশের এই ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে জেলেরা মাছটিকে ধরে নৌকায় তুলে পাটাতনে সাজিয়ে রাখছেন। আট জন জেলে মিলে মাছের দেহটি তুলে ধরে রেখেছেন। সেই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। চকচকে, সাপের মতো চেহারা এবং লাল পাখনা স্পষ্ট ভাবে দৃশ্যমান হয়েছে ভিডিয়োয়। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৩০ মে মাছটি ধরা পড়েছে জেলেদের হাতে। খুব কমই সমুদ্রেপৃষ্ঠের কাছাকাছি দেখা যায় অরফিশকে। আকস্মিক ভাবে মাছটি ধরা পড়ায় আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রাচীন জাপানি প্রবাদে বলা হয়ে থাকে খারাপ বা বিধ্বংসী কিছু হতে চললে তবেই নাকি উপরে উঠে আসে মাছটি। ধ্বংসের বার্তা দিয়ে যায়। আর সে কারণেই ওই মাছটিকে ‘ধ্বংসের দিনের মাছ’ বলে উল্লেখ করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:
যখনই এই মাছগুলির দেখা মিলেছে তখনই পৃথিবীতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। এই মাছটির বসবাস ভূপৃষ্ঠের ৭০০ থেকে ৩ হাজার ২৮০ ফুট নীচে। সেই গভীর অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসে এই মাছগুলি ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা দেয় বলে মনে করা হয়। জাপানে ২০১১ সালের তোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামির আগে ২০টি অরফিশের দেখা মিলেছিল। সেই সঙ্গে ২০১৭ সালে ফিলিপিন্সে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আগে দু’টি অরফিশ দেখা যায়। সেই সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ দেখে অনেকেই মনে করছেন অরফিশের উপস্থিতি আসন্ন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়। সমুদ্রবিজ্ঞানীদের মতে, সমুদ্রের স্রোতের পরিবর্তন, তাপমাত্রার ওঠানামা কারণে এই বিরল মাছটি সমুদ্রের উপরে ভেসে আসতে পারে। ইনস্টাগ্রামের ‘ইন্ডিবাজ়অফিসিয়াল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রচুর মানুষের নজর কেড়েছে।