সেনেটের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পথে। নেতারা দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন। গান থামার পরেই সেনেটের মধ্যে শুরু হল অশান্তি। সেনেটের প্রেসিডেন্টের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিরোধী দলনেতা। চড়-ঘুষির পাশাপাশি একে অপরকে ধাক্কা দিতে শুরু করলেন তাঁরা। এক আলোকচিত্রশিল্পী সেই অশান্তি থামাতে গেলে তাঁকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় মেস্কিকোর সেনেটের এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘দিয়ারিয়ো এল মুন্ডো’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, সেনেটের ভিতর নেতাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হচ্ছে। বিরোধী দলনেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি পৌঁছে যায় হাতাহাতির পর্যায়ে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাতে মেক্সিকোর সেনেটের প্রেসিডেন্ট জেরার্দো ফানার্ন্ডেজ় নোরোনার সঙ্গে বিরোধী দল ইনস্টিটিউশনাল রেভলিউশিনারি পার্টি (পিআরআই)-এর নেতা আলেজান্দ্রো আলিতো মোরেনোর ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।
অন্য দেশ থেকে মেক্সিকোয় আরও সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে আসা যায় কি না তা নিয়ে মোরেনো সেনেটে বলতে চাইছিলেন। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার পর তিনি নোরোনার হাত ধরে বলেন, ‘‘আমি তোমায় অনুরোধ করছি আমায় আগে বলতে দাও।’’ হাত ছাড়িয়ে নোরোনা স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমার গায়ে হাত দেবে না।’’ তার পরই দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। চড়-ঘুষির মাঝে ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক আলোকচিত্রশিল্পী অশান্তি থামাতে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে বিরোধী দলের অন্য এক নেতাও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। নোরোনার দাবি, মোরেনো নাকি তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। নোরোনার কথায়, ‘‘মোরেনো বার বার বলছিল যে, আমায় পিটিয়ে শেষ করে দেবে। আমায় নাকি ও মেরে ফেলবে।’’ এক জরুরি অধিবেশন ডেকে মোরেনো এবং আরও তিন সদস্যকে সেনেট থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোরোনা। অন্য দিকে মোরেনোর দাবি, নোরোনাই নাকি সমস্ত ঝামেলার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন।