খিদে পেয়েছিল বলে চটজলদি অনলাইনে স্যান্ডউইচ অর্ডার করে ফেলেছিলেন তরুণ। কিন্তু স্যান্ডউইচে কামড় দিতে গিয়েই তাঁর মুখে অদ্ভুত এক জিনিস পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে পাউরুটি দু’টি তুলে তিনি লক্ষ করেন যে, সেই ফাঁকে রয়েছে প্লাস্টিকের একটি পুরু আস্তরণ। খাবার তৈরির সময় সাধারণত রন্ধনশিল্পীরা প্লাস্টিকের যে গ্লাভস পরেন, স্যান্ডউইচের পুরের ভিতর তা পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গুরুগ্রামের বাসিন্দা সতীশ সারাওয়াগি। সম্প্রতি নয়ডার একটি রেস্তরাঁ থেকে দু’টি স্যান্ডউইচ অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটি স্যান্ডউইচে কামড় দিতেই প্লাস্টিকের পুরু আস্তরণ বেরিয়ে পড়ে। দু’টি পাউরুটির মাঝখান থেকে বেরিয়ে পড়ে প্লাস্টিকের গ্লাভস। সেই ছবি তুলে রেস্তরাঁ এবং অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার নজর কাড়েন সতীশ। সঙ্গে সঙ্গে ডেলিভারি সংস্থার তরফে ক্ষমাপ্রার্থনা করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
রেস্তরাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলেও সংস্থার তরফে তরুণকে জানানো হয়। কিছু ক্ষণ পর রেস্তরাঁর তরফেও সতীশের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। কী ভাবে স্যান্ডউইচের ভিতর এই গ্লাভস ঢুকে পড়ল তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে আশ্বাস দিয়েছে তারা। যদিও ছবিটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার পর কটাক্ষের তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।
ছবি: সংগৃহীত।
এমন অসাবধানে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার জন্য তাঁদের নিন্দা করতেও পিছপা হননি নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘রান্না করার সময় মন কোথায় থাকে? প্লাস্টিকের আস্তরণ যদি কোনও ভাবে গলায় আটকে যেত, তা হলে তো বড় বিপদ হতে পারত।’’